শ্বাশুড়ীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এতিম মেয়েটি বিষপান করে
স্বরূপকাঠিতে বিষপানে গৃহবধুর আত্মহত্যা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : স্বরূপকাঠির বিষ্ণুকাঠি গ্রামের মোঃ নাসির হোসেনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কিটনাশক পান করে আত্মহুতি দিয়েছেন গৃহবধু শারমিন। শনিবার দুপুরের বিষপানের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার এক পর্যায় সে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়েন বলে জানান (নিহতের শ্বাশুড়ী)। এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানা একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠায়। সরেজমিনে গতকাল মৃতের স্বামীর বাড়িতে গেলে বেরিয়ে পড়ে থালের বিড়াল। এব্যাপারে সারেঙকাঠি ইউপি সদস্য মোঃ রাজ্জাক মীর বলেন, নাসিরের (মৃতের স্বামী) এর আগেও একটি বিয়ে ছিল শ্রীরামকাঠি বাজার সংলগ্ন কিন্তু সে বিয়ের মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই তাকে তালাক দিয়ে এই পিতাহারা এতিম মেয়েটিকে বিয়ে করে। বিয়ের ৬বছরে একটি পুত্র সন্তান থাকা সত্বেও ঢাকায় সে অন্য এক মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে এবং তাকে আনার জন্য পরিবারে কলহ বেধেই রয়েছে। এব্যাপারে নাসিরের পাশের বাড়ির খালাতো ভাই বলেন, এতিম মেয়েটি এ বাড়িতে এসে এক দিনও শান্তি পায়নি। খুবই ভাল মেয়ে ছিল। নাসিরের এর আগেও বিয়ে ছির এবং বর্তমানেও ঢাকায় অন্য এক মেয়ের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। ওই মেয়েকে আনার জন্য এবং এই বউকে বিদায় করতে তার পরিবার সার্বক্ষনিক মেয়েটিকে নির্যাতন করেই যেত। এব্যাপারে নাসিরের মা বলেন, শারমিন বিষপান করে বিষের বোতল আমার সামনে ফেলে দেয়ায় আমি বুঝতে পারি সে বিষ খেয়েছে। তবে প্রতিবেশিদের দাবী শ্বাশুড়ীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এতিম মেয়েটি তার সামনেই বিষপান করে তখন এই নাসিরের মা নিরব থাকেন। নাসিরের চরিত্রহীনতার কারণে সার্বক্ষণিক তার স্ত্রীর উপড় নির্যাতন চলত বলে জানান নাসিরের বাড়ির আশপাশের লোকজন। এবিষয়ে নেছারাবাদ থানা ওসি তদন্ত মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের শেষে লাশ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর পিছনের সুনির্দিষ্ট কারণ তদন্ত করে পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।