|
চুরির ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে
সিনিয়র সাংবাদিক আলম রায়হানের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর হাতিরঝিলের মহানগর প্রজেক্টে সিনিয়র সাংবাদিক আলম রায়হানের বাসায় চুরি হয়েছে। নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ক্যামেরাসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি গেছে।
এতে অন্তত ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। মহানগর আবাসিক এলাকার ডি ব্লকে একটি বাসার চতুর্থ তলায় মঙ্গলবার রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক আলম রায়হান ঘরে থাকা অবস্থাতেই অন্য একটি কক্ষে চুরি হয়। খবর পেয়ে বুধবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
চুরির ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বরিশাল থেকে প্রকাশিত দক্ষিণের সময় পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আলম রায়হান। তিনি দৈনিক আমাদের অর্থনীতির বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবেও কর্মরত আছেন।
সিনিয়র সাংবাদিক আলম রায়হান
সাংবাদিক আলম রায়হান বলেন, ‘আমার স্ত্রী, ছেলে ও বউমা গ্রামে ঈদ করতে গিয়েছে। আমি পরশু বরিশাল থেকে ঢাকা এসেছি। রাতে বাসাতে একাই ছিলাম। আমি ঘুমিয়েছিলাম ড্রয়িংরুমে। অন্যান্য কক্ষগুলো ফাঁকা ছিল। শেষ রাতের দিকে ছেলের কক্ষের দরজার লক লাগানোর শব্দ পাই। চেক করতে গিয়ে দেখি ভেতর থেকে আটকানো। ‘তখনই বুঝতে পারছিলাম, ভেতরে কেউ হয়তো ঢুকেছে। প্রতিবেশীদের ডেকে আনি। দরজা ভাঙার চেষ্টা করি। কিন্তু বাড়ির মালিক দরজা ভাঙতে দেননি। সকালে পুলিশ আসার পর লক ভেঙে ভেতরে ঢুকি। ঘরের সবকিছু তছনছ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ক্যামেরা ও অন্যান্য জিনিস নিয়ে গেছে।’ বাসার দক্ষিণ পাশের বড় কক্ষটির জানালার গ্রিলের একটি পাত ভাঙা।
একপাশে পাতটি ভেঙে অন্য পাশে মুড়িয়ে ভেতরে ঢুকেছে চোর। তিনটি আলমারির জিনিসপত্র নিচে, বিছানার ওপর পড়ে যাচ্ছে। আলম রায়হান বলেন, ‘গ্রিল ভাঙা হয়েছে বাড়ির পেছন দিকে। সামনের দিকে বড় সড়ক। দুই বাসার ফাঁকা অংশ দিয়ে এক বা একাধিক চোর উপরে উঠে এসেছিল হয়তো। আমাদেরসহ অন্যান্য বাড়ি এবং সড়কের সিসিটিভি ফুটেজ খোঁজা হচ্ছে।’ হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশীদ বলেন, ‘চুরিটি কীভাবে হয়েছে তা তদন্ত হচ্ছে। চুরি করতে কতজন এসেছিল তাদের শনাক্তের জন্য সিসিটিভি ফুটেজ চেক করছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’ চুরির খবর নিশ্চিত করে হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মো: জাহাঙ্গীর বলেন, সকালে হাতিরঝিল থানা পুলিশ মহানগর প্রজেক্টের একটি বাসায় চুরি অভিযোগ পায়। বাসাটি থেকে স্বর্ণালংকারসহ দামি মালামাল চুরি করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়। আমরা মাত্র বাসাটিতে এসেছি, অভিযোগের সব তথ্য যাচাই করে দেখছি। তিনি বলেন, বাসার মালিক চুরির ঘটনায় মামলা করবেন। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি যে, মোট সাড়ে পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে। স্বর্ণালংকারের মধ্যে ছিল গলার হাড়, হাতের চুরি, নেকলেস ও টিকলি। এছাড়া দুটি ক্যামেরা, দুইটি হার্ডডিক্সসহ নগদ চার লাখ টাকা চুরি হয়েছে।এইআই আরও বলেন, বাসাটির একটি শয়নকক্ষে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে অন্য রুমে বাসার মালিকের বাবা ছিলেন বলে আমরা শুনেছি। এসব তথ্য এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। জানা গেছে, বাসাটি মূলত বরিশালের ‘দক্ষিণের সময়’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবরার হোসেন ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে বাসাটি থাকতেন। এছাড়া বাসাটিতে আবরার হোসেনের বাবা এবং ওই পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আলম রায়হান মাঝে মধ্যে এসে থাকতেন। ঈদের ছুটিতে আবরার হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ায় তার বাবা বাসাটিতে ছিলেন। দুটি কক্ষ ড্রয়িং রুম বিশিষ্ট ফ্ল্যাটটিতে চুরিটি মূলত মাস্টারবেডে হয়েছে।
Post Views:
২৪৮
|
|