|
ভুলের জন্য তাদের ১৮ হাজার টাকা জরিমানা
সরকারী বরিশাল কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের ৮ শিক্ষার্থীর ভবিষৎ কি হবে?
শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক : সরকারী বরিশাল কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের মধ্যবিত্ত ও গরিব ৮ জন ছাত্র/ছাত্রী শিক্ষার্থীর কি হবে?শিক্ষকের ভুলের খেসারত কি শিক্ষার্থীরা জীবন দিয়ে পরিবারের সদস্যদের স্বান্তনা দেবে?আজ (২১-১১-১৭) সকাল ১১টায় শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে হতভাগা শিক্ষার্থীরা হাজির হয়ে সংবাদ সম্মেলনে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের ভুলের খেসারত দেবে কি শিক্ষার্থীরা?চলতি বছরের বঞ্চিত শিক্ষার্থী সুজন বেপারী লিখিত পাঠ করে বলেন এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ২০১৭-১৮ শিক্ষা বর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার জন্য অন লাইনে আবেদন করা হয়।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করা শিক্ষার্থীদের মেধা অনুযায়ী সরকারী বরিশাল কলেজে ভর্তি হবার অনুমোদন দেয়।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ অনুযায়ী আমরা মধ্যবিত্ত ও গরিব পরিবারের ৮জন ছাত্র/ছাত্রী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময়ে ২২ই অক্টোবর ২০১৭ইং তারিখে ভতিৃ হই সেই সাথে নির্ধারিত ফি ৫হাজার ১২টাকা টাকা পূবালী ব্যাংক নতুন বাজার শাখার মাধ্যমে চালান কেটে বরিশাল কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রদান করা হয়।কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের টাকা গ্রহন করে ২৩ই অক্টোবর ২০১৭ইং তারিখে ৮শিক্ষার্থীর ভর্তি সম্পন্ন করেন।ভর্তি হবার পর থেকে শিক্ষার্থীরা কলেজে যথারীতি ক্লাশ শুরু করেন।১ সপ্তাহ ক্লাম করার পর হঠাৎ করে কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোশারেফ হোসেন শিক্ষার্থীদের ফোন করে বলেন তোমাদের ভর্তির ক্ষেত্রে একটু সমস্য হয়েছে।এছাড়া বিভাগীয় প্রধান মোশারেফ হোসেন বলেন তোমরা কাগজপত্র তুলে নাও এবং এব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ কর।এব্যাপারে শিক্ষা বঞ্চিত ৮ শিক্ষার্থী কলেজ কর্তৃপক্ষের কাচে বিষয়টি জানকে চাইলে তারা জানান তোমাদের ভর্তি নিশ্চয়ন করা হয়নি।কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন বরাবর ভুল স্বীকার করে একটি আবেদন করেন।আবেদন সুত্র নং ৪৬৩,তারিখ ৩০ই অক্টোবর।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ২৫ই অক্টোবরের মধ্যে নিশ্চয়নের টাকা জমা দেয়ার নির্দেশ থাকা সত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ৩০ই অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রেরন করে।এতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত নিম্চয়নের টাকা গ্রহন না করে ঐ ৮ শিক্ষার্থী ছাত্র/ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে দেয়।এরপর পুনরায় শিক্ষার্থীরা কলেজ অধ্যক্ষ অলিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিক্ষার্থীদের পুনরায় অনলাইনে রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার কথা বলেন।আমরা কলেজ অধ্যক্ষের কথামত চলতি মাসের ১ম সপ্তাহে কলেজের মাধ্যমে রিলিজ স্লিপে আবেদন করি ১৩ই নভেম্বর উক্ত রিলিজ স্লিপের ফলাফল প্রকাশিত হলেও আজ পর্যন্ত আমাদের ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে তা জানি না।সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন,তারা ব্যাক্তিগতভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান সরকারী বরিশাল কলেজের ভুলের জন্য তাদের ১৮ হাজার টাকাও জরিমানা করা হয়েছে।সরকারী বরিশাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি শিক্ষার্থীদের পাশ কাটিয়ে তাদের ভর্তির টাকা জোরপূর্বক দরখাস্তে স্বাক্ষর রেখে টাকা ফেরত দিয়ে দেয়।সেই সাথে তোমাদের ২৩ তারিখে ভর্তি করা হবে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন আমাদের যদি ভর্তি করা হয় তা হলে জোরপূর্বক স্বাক্ষর রেখে টাকা ফেরত দেয়ার রহস্য কি ?শিক্ষার্থীরা বলেন কলেজ শিক্ষকদের ভুলের জন্য আমাদের জীবন থেকে ১টি বছর ঝড়ে গেলে আমরা মধ্যবিত্ত গরীব পরিবারের সন্তান,আমাদের ভবিষৎ কি হবে?আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রী,শিক্ষা মন্ত্রী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সুদৃষ্টি কামনা করেন।আগামী ২৪ই নভেম্বর তাদের ভর্তির ব্যাবস্থা করা না হলে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন,প্রশাসন বরাবর স্বারকলিপি প্রদান সহ আদালতের মাধ্যমে আইনের আশ্রয় গ্রহন করতে বাধ্য হবে।তাদের শিক্ষা জীবন অন্ধাকার হয়ে গেলে তার দায় দায়ীত্ব কে নেবে?এব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ অলিউল ইসলামের সাথে তার মুঠো ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন,ওদের কোন চিন্তার কারন নেই,আমি ডীন স্যারসহ জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলছি,ওদের ভর্তি হবে।আমরা কোন ছাত্র/ছাত্রীর ভবিষৎ জীবন নস্ট হতে দেব না।
Post Views:
১৮২
|
|