Current Bangladesh Time
শুক্রবার মে ১৬, ২০২৫ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে দ্বারে-দ্বারে ঘুরছে অসহায় মা 
Thursday October 12, 2017 , 9:16 pm
Print this E-mail this

স্ত্রীর অভিযোগ ছোট ভাইয়ের সার্টিফিকেট দিয়ে সেনাবাহিনীতে চাকুরী করেছে প্রতারক স্বামী আশীষ

সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে দ্বারে-দ্বারে ঘুরছে অসহায় মা


শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক :  বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্ত্রী ও সন্তানকে অস্বীকার করে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে সেনাবাহীনির এক সদস্য।নবজাতক সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে গর্ভধারিনী মা মুক্তা জয়ধর।পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে,আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের সরবাড়ী গ্রামের মৃত সনাতন চন্দ্র জয়ধর এর মেয়ে মুক্তা জয়ধর (২৮) ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরীরত অবস্থায় পরিচয় হয় একই উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভালুকসি (ছোট ডুমুরিয়া) গ্রামের জিবন চন্দ্র দে (জুরান) এর বড় ছেলে আশীষ দে’র সাথে।পরিচয়ের সূত্রধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।আশীষ বেকার থাকা অবস্থায় প্রেমিকা মুক্তার কাছ থেকে চাকুরীর কথা বলে ও বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়।দীর্ঘদিন প্রেম করার পরে গত ১০ বছর পূর্বে তারা আদালতের মাধ্যমে বিগত ২০০৮ সালের ১৭ জানুয়ারী কোর্ট ম্যারেজ করেন এবং বিগত ২০০৮ সালের ১৯ জানুয়ারী ঢাকা সাভারের ধামরাই শ্রী শ্রী যশোমাধব মন্দিরে বসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একসাথে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস শুরু করেন।প্রতারনার শিকার মুক্তা জয়ধর সাংবাদিকদের বলেন,বিবাহের কিছুদিন পরে আশীষ বিবাহের কথা গোপন রেখে ছোট ভাই গবিন্দ’র সার্টিফিকেট দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী’র সৈনিক পদে চট্টগ্রামে চাকুরীতে যোগদান করেন।এ সময় আশীষ মাঝে-মধ্যে ছুটিতে স্ত্রী মুক্তার কাছে আসা যাওয়া করত।এরই মধ্যে মুক্তার গর্ভে সন্তান আসলে স্বামী আশীষ তাকে বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে গর্ভের সন্তানটিকে নষ্ট করে ফেলে।পরবর্তীতে আবারো মুক্তার গর্ভে সন্তান আসার খবর শুনলে আশীষ মুক্তা ও তার গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে এবং স্ত্রী মুক্তার সাথে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।মুক্তা তাদের বিবাহের কথা আশীষের পরিবারকে জানালে আশীষের পরিবার নানা তাল-বাহানা করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।এরপর মুক্তা বাদী হয়ে বরিশাল আদালতে বিগত ২০১১ সালের ৮মার্চ আশীষের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।এরই মধ্যে আশীষ স্ত্রী ও তার গর্ভের সন্তানের তথ্য গোপন করে আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পতিহার গ্রামে গত ৮ মাস পূর্বে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।এ খবর জানতে পেরে স্ত্রী মুক্তা ও তার পরিবার আশীষের এহেনো কর্মকান্ডের সুষ্ট বিচার দাবী করে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, বাকাল ও রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।সরকারী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানদ্বয় আশীষ ও তার পরিবারকে বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিকবার নোটিশ দিলেও আশীষ ও তার পরিবার বিষয়টি আমলে নেয়নি।এদিকে গত রোববার দুপুরে আশীষের প্রথম স্ত্রী মুক্তা জয়ধর এক ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।সন্তান প্রসবের পর মুক্তা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,একজন নারীর জীবনে সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো তার স্বামী।আমি আমার সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের জন্য কার কাছে যাব।আশীষ আমার ও আমার সন্তানের সাথে এত বড় প্রতারণা করবে তা আমি কোনদিন ভাবিনি।তিনি আরো বলেন,আশীষ একজন প্রতারক,সে তার ছোট ভাই গবিন্দ দে’র সার্টিফিকেট দিয়ে সেনাবাহিনীতে গবিন্দ দে নামে চাকুরী করছে।আমি এতদিন আমার গর্ভের সন্তানের কথা চিন্তা করে কারো কাছে মুখ খুলিনি।আমি ওই প্রতারকের উচিৎ বিচার চাই।এ বলে তিনি আবারো কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।এ বিষয়ে জানার জন্য মুক্তার কাছে থাকা আশীষের মোবাইল ফোনে ০১৭৭৩৪১৩৬৯২ যোগাযোগ করা হলে মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।




Archives
Image
বরিশালে পালিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঢাকায় গ্রেপ্তার!
Image
আমু-সাদিক-খোকনসহ ২৪৭ জনের নামে মামলা
Image
রাজধানীর ৯ স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ : ডিএমপি
Image
বরিশালে নার্সিং শিক্ষার্থীদের পৃথক বিক্ষোভ
Image
বরিশালে ছাত্রদলের সাম্য হত্যার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি