Current Bangladesh Time
রবিবার সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫ ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » সংঘবদ্ধ ধর্ষণে কিশোরীর মৃত্যু, মরদেহ ফেলা হয় হাতিরঝিলে 
Monday February 3, 2025 , 3:01 pm
Print this E-mail this

ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত

সংঘবদ্ধ ধর্ষণে কিশোরীর মৃত্যু, মরদেহ ফেলা হয় হাতিরঝিলে


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীর দক্ষিণখানে এক কিশোরীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার ও ভিকটিমের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে ডিএমপির দক্ষিণখান থানা পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন-রবিন হোসেন (৩২) ও মো. রাব্বী মৃধা (২৬)। গত ৩০ জানুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর থানা এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দক্ষিণখান থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারি নিজ বাসা থেকে বের হওয়ার পর ১৩ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী নিখোঁজ হয়। পরে এ সংক্রান্তে ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নিখোঁজ কিশোরীর বাবা। পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় জানতে পারেন, ১৬ জানুয়ারি বিকেলে দক্ষিণখানের জয়নাল মার্কেটের সামনে থেকে কয়েকজন মিলে কিশোরীকে একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় একটি অপহরণের মামলা করেন তিনি। থানা সূত্রে আরও জানা যায়, মামলাটি তদন্তকালে কিশোরীর মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গত ৩০ জানুয়ারি রবিন হোসেন ও রাব্বী মৃধাকে গাজীপুরের শ্রীপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণখান থানা পুলিশ। গত ৩১ জানুয়ারি গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ রিমান্ডে গ্রেপ্তারদের ওই ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাতিরঝিল এলাকার রাস্তার ঢাল থেকে ওই কিশোরীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। থানা সূত্র আরও জানায়, কিশোরীকে হত্যার দায় স্বীকার করে রোববার আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার রবিন হোসেন ও রাব্বি মৃধা। জবানবন্দিতে তারা বলেন ঘটনার দিন তারা ভিকটিমকে ফাঁদে ফেলে মহাখালীর একটি বাসায় নিয়ে যায়। এরপর তারা ভিকটিমের হাত, পা ও মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করে। পৈশাচিকভাবে ধর্ষণের ফলে কিশোরীটি মারা গেলে মরদেহ গুম করার পরিকল্পনা করে রবিন ও রাব্বি। পরবর্তীতে তারা মরদেহ বস্তাবন্দি করে ঘটনার দিন মধ্যরাতে মহাখালী থেকে রিকশায় করে হাতিরঝিলের রাস্তার ঢালে ফেলে দেয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।




Archives
Image
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ৭ দফা প্রস্তাব অধ্যাপক ইউনূসের
Image
বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন
Image
বরিশাল সিটির ১৫ কর্মকর্তার তথ্য চেয়ে দুদকের নোটিশ
Image
বরিশালে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার
Image
৬ সেপ্টেম্বর পালিত হবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী