Current Bangladesh Time
শনিবার সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪ ১০:৫৩ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » শেষ পর্যন্ত রাস্তায়ও ঠাঁই হলো না বরিশালের প্রতিবন্ধী রানার মায়ের 
Thursday October 19, 2017 , 11:22 am
Print this E-mail this

২৫ বছর ধরে চলছে প্রতিবন্ধী রানার জীবন

শেষ পর্যন্ত রাস্তায়ও ঠাঁই হলো না বরিশালের প্রতিবন্ধী রানার মায়ের


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল সদর রোডে পঙ্গু প্রতিবন্ধী রানাকে কে না চেনে ?লোক দেখলেই মামা বলে ডাকে,গড়িয়ে গড়িয়ে চলে মানুষের কাছে চেয়ে চিন্তে রুটি,বিস্কুট খায় আর সম্ভব হলে আয়ুবালীর বিসমিল্লাহ হোটেলের সামনে গেলে ১ প্লেট ভাত খাবার জোটে এভাবেই প্রায় ২৫ বছর ধরে চলছে প্রতিবন্ধী রানার জীবন।বোনের অনত্র বিবাহ হয়েছে প্রায় ১ যুগ পূর্বে।তাদের বাবা মারা যায়।মাতা হোসনেয়ারা বেগম ঐ পঙ্গু সন্তানকে নিয়ে আর বিবাহে বসেননি।আগে থেকেই সদর রোড বাটার গলিতে একটি ঝুপরি ঘরে থাকেন মা ছেলে ও মেয়ে।অসহায় পরিবারের আর যারা স্বজন রয়েছে তারা অনেকেই বাসা বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।ফলে তাদের পক্ষে বিধবা হোসনেয়ারার সংসার দেখার সুযোগ নেই।বাটার গলিতে থাকার সুবাদে রাস্তার পাশে একটি পান,সিগারেটের দোকান দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেঁচা-কেনা করে দেড় ২’শ টাকা আয় করেন।তাতেই চলে মা ছেলের সংসার।এভাবেই প্রায় ৩০ বছর চলছে তাদের জীবন জীবিকা।কিন্তু বর্তমানে বিধবা হোসনেয়ারার সেই বাক্স দোকানটার উপরেও নেমে এসেছে সর্ব খড়গ।এক ইলেকট্রিশিয়ান দুলাল ও ভবন মালিকের কেয়ারটেকারের কুট কৌশলে প্রতিদিন সিটি কর্পোরেশনের লোকজন আবার পুলিশের ভয় দেখানো হয় তাকে।কেয়ারটেকার মিজান এর খড়গ দৃষ্টিতে চলে যেতে হলো হোসনেয়ারাকে। সদর রোড এবং বিবির পুকুর পাড়ে প্রায় অর্ধশত দোকানীর বসার জায়গা মিললেও কেবল মেলেনি তার স্থান।জানা যায়,বিবির পুকুরের পশ্চিমপাড়ে বহুতল ভবনের মালিক অরুন উল্লাহ ও ছলিম উল্লাহ নামের দুই সহোদর।তারা ঢাকায় থাকেন।ভবনটি গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারকে ভাড়া দেয়া হয়েছে।ঐ ভবনের পাশে সরকারী ড্রেন ছাড়াও ভবনের উত্তর পাশ দিয়ে একটি সরু পানি নামার ড্রেন রয়েছে।যেখানে একটি পান,সিগারেটের বাক্স বসিয়ে বেঁচা-কেনা করত হোসনেয়ারা।যুগ যুগ ধরে ওখানেই বসেছেন তিনি।ভাড়া হিসাবে বাড়ির মালিক প্রতিমাসে সাড়ে ৩ হাজার টাকা নিতেন তার কাছ থেকে।হঠাৎ করে তাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে কেয়ারটেকার মিজান।কারণ হিসাবে জানা যায়,ইলেকট্রিশিয়ান দুলাল একটি বাল্ব জালানোর ব্যবস্থা করে দেয়ার নামে ১৫শ টাকা দাবি করেন।তা দিতে অস্বীকার করলে শুরু হয় নানান কুট কৌশল।জানা গেছে,ঐ স্থানে অন্য একজনকে বসিয়ে তার নিকট থেকে বাড়তি সুবিধা নেয়ার জন্য ২জনে মিলে হোসনেয়ারাকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়।পরে সিটি কর্পোরেশন ও সুপরিচিত পুলিশকে বলা হয়।চাপের মুখে চলে যায় হোসনেয়ারা।এখন তিনি ক্ষণেক রাস্তার মধ্যে বসে এভাবেই বেচা কেনা করেন আবার যানজট দেখলে বাক্সটি হাতে করে নিয়ে বাসায় চলে যান।এসব কথাগুলো বলে কেঁদে ফেলেন তিনি।মোটা সোটা ভারী মহিলা অন্য কোন কাজও করতে পারেন না।তাহলে কিভাবে চলবে প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে হোসনেয়ারার সংসার ?এ কথাটি একবারের জন্যও ভাবলেন না শত কোটি টাকার মালিক ঐ বৃত্তবানেরা।আর সমাজে আমরা যারা আছি তাদেরও এই গরিবের দুরাবস্থা দেখার সময় নেই।আমরা কেউ অফিসার,কেউ রাজনীতি করি আবার কেহ জনপ্রতিনিধি।গরিবের খবর কে রাখে?


সূত্র : বরিশাল বাণী




Archives
Image
সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, ঝড়ের শঙ্কা, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
Image
ঝালকাঠিতে ডাকাতি ও হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
Image
মুখ খুললেন ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের অ্যাডমিন শামীমা তুষ্টি
Image
আড়াই ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধ, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
Image
সীমান্তে পিঠ দেখাবেন না : বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা