Current Bangladesh Time
সোমবার সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪ ৩:৫১ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » শীতের শুরুতেই বরিশালে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন লেপ-তোষক কারিগররা 
Tuesday October 30, 2018 , 2:08 pm
Print this E-mail this

দাম একটু কম হওযায় মানুষজন আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে

শীতের শুরুতেই বরিশালে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন লেপ-তোষক কারিগররা


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : অবশেষে দরজায় কড়া নাড়া শুরু করেছে শীত। আর শীত মানেই ঘুমানোর জন্য সবচেয়ে উপযোগী ঋতু। তবে সেই ঘুম তৃপ্তির সাথে শীত মোকাবেলা করে ঘুমাতে প্রয়োজন হয় প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের। যেই বস্ত্রের সবচেয়ে পছন্দের তালিকায় রয়েছে লেপ বা কম্বল। আর তাই শীতের এই আগমনী বার্তায় ব্যস্ততা বেড়েছে বরিশালের বিভিন্ন লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের এবং লেপ কম্বলের রেডিমেড দোকানে। আশ্বিনের শেষের দিক থেকে জনপদ থেকে জনপদে শীতের আগমনী বার্তার কড়া নাড়া শুরু হয়। শীত জেকে বসার আগে তাই লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে বরিশালের সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে। ফলে লেপ-তোষকের দোকানে বাড়ছে বেচা-কেনা। এসব দোকানের কর্মচারীদের এখন অলস সময় কাটানোর একদম ফুরসত নেই। বরিশাল সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও পাড়া-মহলাতে লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা এখন হাঁক-ডাক করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে নিজেরাই গিয়ে লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের খুঁজে বের করে লেপ তৈরির জন্য ঠিক করছেন। শুধু লেপ-তোষক তৈরিই নয়, শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ ও ব্যবহার্য সামগ্রীতেও পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। পাতলা পোশাকের পরিবর্তে অনেকেই মোটা জামার দিকে ঝুঁকছেন। তাই এখন কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম পোশাকেরও। এ ছাড়া শীতের সময় কাঁথা, কম্বল, চাদর বা শাল, শীতের টুপি, হাতমোজা, মাফলার, জাজিম ও কার্পেটের ব্যবহার ও বিক্রি বেড়ে যায়। ছয় ঋতুর এই দেশে শীতের আগমনী বার্তা শীতকালে হওয়ার কথা থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তা এখন ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না। আশ্বিনের শেষ সপ্তাহে ও কার্তিকের শুরুতেই শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে, ভোরে হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। সূর্য উঠার ঘণ্টা দুই পরেই আবার বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির এমন রূপ। তখন রোদের তাপে শীতের কুয়াশা দূর হয়ে গরমে ঘাম ঝরছে বরিশালের বিভিন্ন এলাকার মানুষের। সন্ধ্যা নামার পরপরই প্রায় সারারাত মাঝারি শীতের কারণে বাসা-বাড়িতে শীত নিবারণের জন্য পাতলা কাঁথা ব্যবহার শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই।তবে বেশিরভাগ মানুষই শীত নিবারণে সাধারণত নির্ভর করেন লেপ-তোষকের ওপর। এ কারণে লেপ-তোষকের কারিগরদেরও শীত আসার আগে থেকেই শুরু হয় ব্যস্ততা। প্রতিবছরের মতো এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। শীতকে সামনে রেখে এরই মধ্যে নগরীর বিভিন্ন মার্কেট এলাকা ও গলির মোড়ে গড়ে ওঠা লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা। বরিশাল শহরের লেপ-তোষকের মার্কেট ঘুরে কারিগরদের আগাম ব্যস্ততার দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল এই শীত এলো বলে! কারিগররা বলছেন, ক্রেতাদের এই আনাগোনা চলবে পুরো শীতজুড়ে। সরেজমিন নগরীর পদ্মাবতী, মহসীন মার্কেট, বাজার রোড, সাগরদী, চৌমাথা, নতুন বাজার, নবগ্রাম রোড, বাংলাবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লেপ-তোষকের দোকানের সবকটিতেই ছিল অর্ডার নেয়াসহ কারিগর দ্বারা লেপ বানানোর ব্যস্ততা। দোকানিরাও অর্ডার গ্রহণ এবং বিভিন্ন রঙ ও মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্রেতাদের। একই দৃশ্য চোখে পড়ে বরিশাল সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারেও এমনটাই জানা গেছে উপজেলার প্রতিনিধিদের কাছ থেকে। এ বছর লেপের দাম কেমন হবে জানতে চাইলে সাহিন বেডিং এর মালিক সৈকত আলী বলেন, রেডিমেড লেপ কিনতে খরচ পড়বে-সিঙ্গেল ১১০০ টাকা, সেমি-ডবল লেপ ১৬শ’ থেকে দুই হাজার টাকা, ডবল লেপ পাওয়া যাবে ২ হাজার টাকার মধ্যে। এ ছাড়াও শুধু রেডিমেডই নয়, ক্রেতারা তার পছন্দমতো লেপ কারিগর দিয়ে তৈরি করিয়ে নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ২৫০০ থেকে ২৮০০ টাকার মধ্যে ক্রয় করতে পারবেন ক্রেতারা। তিনি আরও বলেন, তুলার মান ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে লেপ তৈরির খরচ। একটি ডবল লেপ বানাতে ৩ থেকে ৪ কেজি তুলা লাগে। আর লেপ বানাতে সাধারণত কার্পাস তুলা ব্যবহার করা হয়। তাছাড়াও লেপ-তোষকের ব্যবসায়ীরা আরও জানান, এ বছর জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ বেড়ে গেছে ১শ’ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা। আর একটি লেপ বিক্রি করে প্রায় একশ থেকে তিনশ টাকা পর্যন্ত লাভ হয় তাদের। এদিকে নগরীর পদ্মাবতীর শুভ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক জানান, এখনও বেচাবিক্রি জমে উঠেনি, আরও কিছুদিন পরে মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে বলে তিনি জানান। হাজী মহসীন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, শীতকে কেন্দ্র করে মার্কেটে উঠেছে নানা ধরনের কম্বল। তবে আকার অনুযায়ী দাম কম-বেশি রয়েছে। এক্ষেত্রে বড় কম্বলের দাম পড়বে প্রায় আড়াই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। ছোট কম্বল দেড় হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। এ ছাড়াও শিশুদের জন্য কম্বলের দাম পড়বে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। তাছাড়াও অল্প দামের কম্বলও রয়েছে মার্কেটগুলোতে, যা তিনশ টাকা থেকে এক হাজার টাকায় পাবেন ক্রেতারা। চৌমাথা এলাকার মিতালী বেডিং স্টোরের মালিক খান মাসুম বলেন, দাম একটু কম হওযায় মানুষজন আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, যত শীত আসবে ততই দাম বৃদ্ধি পাবে।




Archives
Image
দলবাজ ছাত্র-শিক্ষককে ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না-ড. ইউনূসকে শিক্ষার্থীরা
Image
বরিশালে শ্বাসনালিতে খাবার আটকে শিশুর মৃত্যু
Image
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে : চিফ প্রসিকিউটর
Image
বরিশালের গৌরনদীতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
Image
বরিশালে প্রতিপক্ষের হামলা, ১০ জন হাসপাতালে