|
ইচ্ছাপূরণ নির্ভর করছে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর – মিল্লাত
শিল্পমন্ত্রীর সাথে মনোনয়ন দৌড়ে জোরেসোরে এগিয়ে চলছেন যুবলীগ নেতা মিল্লাত
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : আগামি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের শেষার্ধে হতে পারে বলে সম্প্রতি আভাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। হাতে প্রায় এক বছর সময় থাকলেও আরো আগে থেকেই নির্বাচন নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও স্ব স্ব রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন নিশ্চিত করতে নির্বাচনী এলাকা এবং কেন্দ্রীয় নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে চালিয়ে যাচ্ছেন তৎপরতা। বরিশাল শহর থেকে সবচেয়ে কাছের জেলা ঝালকাঠির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি)। কেননা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৃষ্টিকালীন নেতা, বর্তমান শিল্পমন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু’র নির্বাচনী এলাকা এটি। এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অনেকের নাম শোনা গেলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু’র পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে একজনকেই। তিনি হলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক, নলছিটির কৃতি সন্তান বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক মোঃ মিল্লাত হোসেন। শিল্পমন্ত্রীর আসনে একমাত্র মিল্লাত হোসেনের মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি এলাকায় এবং দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বেশ আলোচনায় স্থান পেয়েছে। তার সাহসী এ উদ্যোগকে প্রশংসা জানিয়ে সাদরে গ্রহণও করেছে সকলে। তবে মিল্লাত হোসেনের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, শিল্পমন্ত্রীর মত বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আসনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি নিজেও কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছেন। কিন্তু তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশি, এ সিদ্ধান্তে অটুট রয়েছেন। যে কারণে শিল্পমন্ত্রীকে তার প্রতিপক্ষ নয়, বরং গুরুজনের আসনে বসিয়ে আশির্বাদ প্রাপ্তির অপেক্ষায় আছেন। সেই উদ্দেশ্যে ঝালকাঠি সদর ও নলছিটির দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করলে তারাও পাশে থাকার বিষয়ে আশ্বস্থ করেছেন। আর এলাকার সাধারণ জনগণ যুব বয়সী এই নেতার জনপ্রতিনিধি হওয়ার আকাঙ্খাকে সাধুবাদ জানিয়ে আগামিতে পরিবর্তন আনবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে কেন্দ্রীয় আ’লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, শিল্পমন্ত্রী আমু বয়স এবং রাজনীতিসহ সব দিক থেকেই জ্যেষ্ঠ। তবুও যুবলীগ নেতা মিল্লাত হোসেনের মিষ্টভাষী আচরণ, উন্নয়ন ও সেবামূলক পরিকল্পনা এলাকাবাসীর মাঝে আশার সঞ্চার সৃষ্টি করেছে এবং তারা মিল্লাতের চিন্তা-চেতনায় মুগ্ধ হয়ে তাকে যে নিজেদের আপন মানুষ ভাবতে শুরু করেছেন, সে খবর গোয়েন্দা রিপোর্টের মাধ্যমে নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ডের হাতে পৌঁছেছে। আর কেন্দ্রে লবিংয়ের দিক থেকেও মিল্লাত হোসেন বেশ শক্তিশালী অবস্থানে। তাই শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু’র পাশাপাশি মনোনয়ন দৌড়ে কোন অংশেই পিছিনে নন মিল্লাত হোসেন। অপরদিকে বিভিন্ন উৎসবে নির্বাচনী এলাকায় মিল্লাত হোসেনের ব্যানার-ফেস্টুনের ওপর আক্রমনের খবর সমালোচনার ঝড় তুলেছে সর্বত্র। তার প্রচারণার ব্যানার ছিড়ে ফেলা, নষ্ট করা এবং তার সঙ্গে যোগাযোগকারী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির বিষয়টি এমনটাই ইশারা করছে, মিল্লাত হোসেনের মনোনয়ন প্রত্যাশার ঘোষণা একটু হলেও নাড়া দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। তার প্রতিদ্বন্দ্বীতার খবরে শিল্পমন্ত্রী একটু হলেও ভাবনায় পড়েছেন। নির্বাচনী এলাকার মানুষের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায়ের হাতে গোনা কয়েকজন নেতার মধ্যে একজন। যে কারণে গ্রহণযোগ্যতার দিক বিবেচনায় তার সামনে কেউ না থাকলেও কেন্দ্রীয় রাজনীতি এবং মন্ত্রীত্বের কারণে অধিকাংশ সময়ই তার অবস্থান থাকে রাজধানী ঢাকায়। এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসা মিল্লাত হোসেন সম্পর্কে তাদের মন্তব্য, তিনি অনেকটা স্বচ্ছ এবং সাদাসিধে মানুষ। সাধারণ মানুষ সবসময়ই থাকেন পরিবর্তনের অপেক্ষায়। নির্বাচনী উদ্দেশ্য ছাড়াও তাকে বিভিন্ন সময় সমাজ সেবা এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে কাছে পেয়েছে এলাকাবাসী। যে কারণে তিনি যখন নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা করারই সাহস করেছেন, ভবিষ্যতে তিনি মনোনয়ন পেলে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়াটাও তার জন্য সহজতর হবে বলে দলের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষও এমনটা ধারণা করছেন। তাই যুব বয়সী এই নেতার উদ্দেশ্য সফল হবে বলে বিশ্বাস করেন তারা। অপরদিকে বর্তমান সরকারের বিগত ৯ বছরে শিল্পমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান নেতা আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু’র নির্বাচনী এলাকায় উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভও রয়েছে। যার বিষ্ফোরন হতে পারে আগামি নির্বাচনে। আ’লীগের স্থানীয় সূত্র জানায়, মিল্লাত হোসেনের সঙ্গে ইতিমধ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে একটি মেলবন্ধন তৈরী হয়েছে। তারা মিল্লাত হোসেনের সাথে নির্বাচনকালীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাও করছেন। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। সম্প্রতি নলছিটিতে অগ্নিকান্ডে বেশ কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে মিল্লাত তাদের যথাসাধ্য সহায়তা করেন এবং তার প্রেরিত শীতবস্ত্র এলাকার দুস্থ মানুষের মাঝে বিতরণও করেন নেতারা। সার্বিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সহ-সম্পাদক মিল্লাত হোসেন বলেন, রাজনীতিতে শিল্পমন্ত্রী আমার অভিভাবক সমতুল্য। ঝালকাঠি-২ আসনের অবহেলিত মানুষের উন্নয়ন এবং জীবনধারা সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আগামি নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। তাই শিল্পমন্ত্রীসহ সকলের আশির্বাদ নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে চাই। বাকী ইচ্ছাপূরণ নির্ভর করছে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর।
Post Views:
৪৬৫
|
|