|
নেতাদের প্রচারনায় ব্যানার ব্যহার করা হচ্ছে, যার ফলে নগরীর সৌন্দর্য ব্যাহত হচ্ছে
রাজনৈতিক ব্যানারে ঢাকা পড়েছে বরিশাল নগরীর সৌন্দর্য !
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ‘আমাদের শহর আমরাই পরিষ্কার রাখবো’-এমনি একটি স্লোগানে বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও নগর পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলো সরকার। যা বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা রেখেছিলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ের কলেজ কিংবা রাস্তাঘাট পরিস্কারে নেমে পড়েছিলো সোনার ছেলেরা। বরিশালে বেশ কয়েকদিন জোরে সোরে ঢাকঢোল পিটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শহর সৌন্দার্য রক্ষায় ব্যানার, বিলবোর্ড ফেস্টুন সরিয়ে সুনাম কুড়ালেও নগরীর আনাচে কানাচে পূনরায় ভরে গেছে শহর। রাজনৈতিক প্রচারনা কিংবা দলীয় প্রগ্রাম থাকবে শহর সাজানো হবে এটাই স্বাভাবিক। আমাদের শহর আমরাই পরিষ্কার পরিছন্ন রাখবো। যাতে করে বাইরের শহর কিংবা বিদেশ থেকে একজন মানুষ এই শহরে এশে আমাদের ইতিহাস, ঐতিয্য, দর্শনীয় স্থান দেখতে পারে। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ, সপ্তাহ শেষ, মাস গড়িয়ে গেলেও সরানো হয়না এসব আনুষ্ঠানিকতার উপকরন গুলো। যাতে করে শহরের অশিকাংশ দর্শনীয় স্থান ঢাকাপড়ে যাচ্ছে। যাতেকরে বরিশাল শহর একটি রাজনৈতিক ব্যানার পোষ্টার, বিলবোর্ডেল শহর হিসেবে আক্ষায়ীত হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখায় কার্যকরী ভুমিকা রাখলেও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যাবহিত এসব ব্যানার, বিলবোর্ড, ফেস্টুন সরাতে নারাজ। ইচ্ছে থাকলেও পারছেনা অদৃশ্য কারনে। রাজনৈতিক ব্যানার ফেস্টুনে নগরীর অধিকাংশ দর্শনীয় স্থান কিংবা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাটানো হয়েছে বড় বড় বিলবোর্ড ও ব্যানারে। যাতে করে নগরীর সৌন্দর্য হারিয়ে যেতে বসেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। বরিশাল নগরীর বিবির পুকুরপাড়, জেলখানা মোড়, সদর রোড, নতুনবাজার, নথুল্লাবাদ, রূপাতলী, লঞ্চঘাট সহ বিভিন্ন গরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সাটানো হয়েছে বড় বড় বিলবোর্ড, তোড়ন সহ ব্যানার ও ফেস্টুন। বিবির পুকুর পাড়ের মূল সৌন্দর্য ও হারিয়ে যেতে বসেছে রাজনৈতিক ব্যানার ফেস্টুনে। কোন রাজনৈতিক প্রোগ্রাম আসলেই ঐসকল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো বেছে নেয় দলীয় নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী গত ৪ঠা জানুয়ারি ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে পহেলা জানুয়ারী থেকেই বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আজ ৯ দিন অতিবাহিত হলেও নগরীতে এখনো রয়ে গেছে ব্যানার ফেস্টুনগুলো। এছাড়াও নগরীতে রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন নেতা-কর্মীর ব্যানারেও ছেয়ে আছে। যা কিনা নগরীর সৌন্দর্য অনেকটাই ঢেকে রেখেছে। ব্যানারগুলো রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা এবং সিটি কর্পোরেশন সড়ানোর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে দাবি করেন নগরীবাসী। বিবির পুকুর পাড়ের পথচারী মোঃ সাইফুল ইসলাম জানায়, বর্তমান রাজনীতি ব্যানার ফেইজবুকের মধ্যে ঢুকে গেছে। নেতাদের প্রচারনায় ব্যানার ব্যহার করা হচ্ছে, যার ফলে নগরীর সৌন্দর্য ব্যাহত হচ্ছে। নগরীর অনেক পথচারী ও সচেতন মহলের মানুষগুলো বলেন, কোন প্রোগ্রাম আসলেই নগরীতে ব্যানার ফেস্টুনে ভরে যায়, যা নগরীর সৌন্দর্য ব্যাহত হয়। প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার সাথে সাথেই ব্যানারগুলো নিজ দায়িত্বে খুলে ফেললে আর সমস্যা থাকে না। কিন্তু এই ব্যানার ফেস্টুনগুলো খোলার কোন ব্যবস্থা নেয়নি নেতা-কর্মীরা। এ বিষয়ে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন সেরনিয়াবাত জানায়, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সহ পুরো জানুয়ারী মাস জুড়ে আমাদের প্রোগ্রাম থাকে এবং উপজেলায় এখনো ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান চলছে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতারা বরিশালে আসায় নগরীর ব্যানারগুলো খোলার পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তবে এখন দু’একদিনের মধ্যেই ব্যানাগুলো খুলেফেলা হবে। অপরদিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান জানায়, বরিশাল নগরীর রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়া সকল ব্যানারই খোলা হয়েছে। রাজনৈতিক ব্যানারগুলোতে সিনিয়র নেতা এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ থাকায় আমরা খোলার ব্যবস্থান নিতে পারছি না তবে, তাদেরকে ব্যানারগুলো খোলার জন্য বলা হয়েছে।
Post Views:
৭৩৩
|
|