|
মেয়র কামালের বিরুদ্ধে মন্ত্রনালয়ে অর্থ আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে, অভিযোগের তদন্ত শুরু হচ্ছে
যে কারণে গুডবাই জানালেন বরিশাল বিসিসি’র মেয়র কামাল
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : মেয়র কামালের বিরুদ্ধে মন্ত্রনালয়ে অর্থ আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত শুরু হচ্ছে। এ কারনে মন্ত্রনালয় বিসিসি উন্নয়নে কোন তহবিল ছাড় করছিল না। কর্মকর্তা কর্মচারীরাও তাকে চরম অসহযোগিতা করছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। বৃহস্পতিবার তার পদত্যাগপত্র মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনের ৩ দিন পর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বরিশাল সিটির বিদায়ী মেয়র আহসান হাবিব কামাল। বৃহস্পতিবার দুপুরে কামালের ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদুল ইসলাম বরিশাল প্রধান ডাকঘর থেকে বিদায়ী মেয়রের পক্ষে রেজিস্ট্রি ডাক যোগে (নং ৫৯২) স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বরাবর এই পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন। এতে কামাল বলেন, তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সাধ্য মতো সুনামের সহিত নাগরিক সেবা দিতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বিগত ১৩ জুন (একই দিন বিসিসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়) থেকে সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন দাপ্তরিক ও অর্থনৈতিক কাজ সম্পাদন করতে পারছেন না। নগর ভবনের তহবিলে স্থিতি থাকার পরও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা, গাড়ির জ্বালানী তেল সরবরাহ ও বিল পরিশোধ, রাস্তার বৈদ্যুতিক বাতি সরবরাহ ও বিল পরিশোধ, রাস্তাঘাট সংস্কার ও মেরামত, মনোহারি মাল সরবরাহ ও মূল্য পরিশোধ করা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যাংকে জমা থাকা সত্বেও নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ ৩০ জুনের মধ্যে ঠিকাদারদের পরিশোধযোগ্য বিল পরিশোধ করতে বাধাপ্রাপ্ত হন। পদত্যাগপত্রে কামাল বলেন, গত ৩১ জুলাই আপনার মন্ত্রণালয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ওই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে আমার সকল দাপ্তরিক ও অর্থনৈতিক (বিশেষ পাওনা পরিশোধ) কাজ সম্পাদন করতে বাধাপ্রাপ্ত হই। এতে সিটি করপোরেশন অচল হয়ে যায়। এই অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে ন্যুনতম নাগরিক সেবা দিতে না পাড়ায় তিনি মেয়র পদ থেকে পদত্যাগপত্র প্রদান করেন। বিদায়ী মেয়র কামাল আরো বলেন, তাকে স্বাভাবিক কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিলো না। তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে তহবিল তসরূপের লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। তিনি ব্যাংক স্টেটমেন্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। তহবিল তসরূপ না করলে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে কামাল বলেন, তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাসহ তাকে বেকায়দায় ফেলতেই অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি কোন তহবিল তসরূপ করেননি বলে দাবী করেন। মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পদত্যাগপত্রের একটি অনুলিপি সিটি কর্পোরেশনেও পাঠিয়েছিলেন আহসান হাবিব কামাল। কিন্তু বিসিসি’র সাধারণ শাখা তালাবদ্ধ থাকায় অনুলিপি জমা দিতে পারেননি তিনি। বিদয়ী মেয়র পুত্র কামরুল আহসান রূপন বলেন, নিয়মানুযায়ী পদত্যাগপত্রের একটি ফটোকপি নিয়ে মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদুল ইসলাম দুপুরে নগর ভবনে গিয়েছিলেন। কিন্তু নগর ভবনে কোন লোকজন না থাকায় এমন কাউকে পাওয়া যায়নি চিঠি রিসিভ করার জন্য। এমনকি সাধারণ শাখাও তালাবদ্ধ ছিলো।
Post Views:
০
|
|