প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » মাথায় গুলি নিয়ে সাড়ে ৮ মাস, অবশেষে মারা গেলেন জুলাইযোদ্ধা ‘হৃদয়’
Saturday April 5, 2025 , 5:10 am
২টি গুলি বের করতে পারলেও আশঙ্কাজনক হওয়ায় একটি গুলি বের করতে পারেনি
মাথায় গুলি নিয়ে সাড়ে ৮ মাস, অবশেষে মারা গেলেন জুলাইযোদ্ধা ‘হৃদয়’
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : জুলাই বিপ্লবে ঢাকার রাজপথে আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন মো. আশিকুর রহমান হৃদয় (১৭)। আট মাসের বেশি সময় ধরে অসুস্থ থাকার পর মারা গেলেন তিনি। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত হৃদয় ওই উপজেলার বাউফল সদর ইউপির পশ্চিম যৌতা গ্রামের আনসার হাওলাদারের ছেলে। হৃদয় ঢাকাতে শ্রমিকের কাজ করতেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৮ জুলাই মাথায় তিনটি গুলিবিদ্ধ হয় হৃদয়ের। তৎকালীন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের ভয়ে লুকিয়ে চিকিৎসা নেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা তাঁর মাথা থেকে ২টি গুলি বের করতে পারলেও আশঙ্কাজনক হওয়ায় একটি গুলি বের করতে পারেনি। এতে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি হৃদয়। প্রায়ই জ্বর উঠত তাঁর। বুধবার জ্বর বেশি এলে হৃদয় অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে তাঁকে পরিবারের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। হৃদয়ের বাবা আনসার হাওলাদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারিনি। নিজের রিকশা ও একটা গরু বিক্রির টাকা দিয়ে যতটুকু পেরেছি ততটুকু চেষ্টা করেছি। মাথার তিনটা গুলির মধ্যে একটা বের করা সম্ভব হয়নি। বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলে আমার ছেলেকে বাঁচানো যেত। নিহত হৃদয়ের বড় ভাই মো. সোহাগ ইসলাম আনিস বলেন, হৃদয়ের মাথার ভেতরে একটা গুলি থাকায় ওর প্রচুর ব্যথা করত। জ্বর উঠত। কেউ আমার ভাইয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেনি। উন্নত চিকিৎসার অভাবেই আমার ভাই মারা গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আ. রউফ বলেন, ‘বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় হৃদয়কে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি। পরিবার যথাসময়ে বরিশাল নিয়ে যেতে পারেনি। এখানেই বিকেল ৩টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।’