|
চরটিতে জনসংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি, নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক রেস্ট হাউজ
ভোলার সৌন্দর্যের লীলাভূমি ‘চর কুকরী-মুকরী’তে হচ্ছে ইকোপার্ক
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ভোলার উপজেলা চরফ্যাসনের ‘চর কুকরী-মুকরী’তে সরকারিভাবে ইকোপার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণের লক্ষ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ইকোপার্ক স্থাপনে উদ্ভিদ, প্রাণী প্রজাতি রক্ষা, বন্য প্রাণীর আবাসস্থল ও প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন সম্ভব হবে। সংবাদ সংস্থা বাসস জানিয়েছে, আগামী ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ইকো পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মাধ্যমে দেশী বিদেশী পর্যটকদের আগমনে উপকূলীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিয়া জানান, চর কুকরী-মুকরী দেশের মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর একটি দ্বীপ এলাকা। বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপটির প্রতি সাধারণ মানুষের প্রচুর আকর্ষণ রয়েছে। তাই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বীপটিতে পর্যকটকদের আগমন নিশ্চিত করতে পার্ক স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বন বিভাগের হলেও এটি বাস্তবায়নে কাজ করবে গণপূর্ত বিভাগ। ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করা হবে বলে বন কর্মকর্তা ফরিদ মিয়া জানান। বন বিভাগ কার্যালয় সূত্র জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নেতিবাচক প্রভাব হ্রাসকল্পে সৌন্দর্যবর্ধনকারী বনায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে সাজানো হবে চর কুকরী-মুকরীকে। ইকো ট্যুরিজম সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এখানকার সার্বিক পরিবেশ উন্নয়ন ও প্রতিবেশ সংরক্ষিত করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কান্ট্রিবোট ক্রয়, নতুনভাবে তথ্য ও শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণ, শেডসহ গাইড ম্যাপ নির্মাণ, দিক নির্দেশনামূলক সাইন বোর্ড, পর্যটকদের জন্য যাত্রী ছাউনি, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, আর সিসি রোড-পিলারসহ ছোট-বড় জেটি নির্মান করা হবে। শিশুদের জন্য থাকবে বিভিন্ন রাইডস। আরো থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য সেড, বসার বেঞ্চ, বন্য প্রাণীদের জন্য পুকুর, বিভিন্ন বন্য প্রাণীর ম্যূরাল, হরিণের বেষ্টনি ইত্যাদি। জানা যায়, চরফ্যাসন উপজেলার নদী ও সাগরের জলরাশি দ্বারা বেষ্টিত বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ কুকরী-মুকরী। এখানে রয়েছে ‘জীববৈচিত্রের এক বিপুল সমাহার এবং পাখিদের জন্য রয়েছে রামসার সাইট’। আজ থেকে প্রায় চার দশক আগেও দ্বীপটিতে তেমন জনবসতি ছিল না। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এটি একটি ইউনিয়নে পরিণত করা হয়েছে। বিশেষ করে বর্তমান মহাজোট সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর এই চরটির উন্নতি শুরু হয়। বর্তমানে চরটিতে জনসংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি। নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক রেস্ট হাউজ। পাখি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, আমব্রেলা শেড, আরসিসি বেঞ্চসহ বিভিন্ন স্থাপনা হয়েছে। ভোলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বদরুল আলম খান জানান, আগামী ১৭ জানুয়ারি মহামান্য রাষ্ট্রপতি ইকোপর্কের ভিত্তি স্থাপনের পরেই এর কার্যক্রম শুরু করা হবে। মূলত অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজগুলো পূর্ত বিভাগ সম্পন্ন করবে। সার্বিক সহযোগিতায় থাকবে বন বিভাগ।
Post Views:
১,৫৩৫
|
|