|
এমন অবস্থায় মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও চিকনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা
বৃষ্টিতে বরিশালে মশার দাপট, নির্বিকার সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বৃষ্টি বাড়র সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল মহানগরীতে দাপট বেড়েছে মশার। বরিশাল সিটি করপোরেশনে (বিসিসি) ওষুধ না থাকায় গত এক বছর ধরে মশক নিধন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে গত কয়েক মাস পর্যন্ত মশার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হলেও শুক্রবার (১৮ মে) টানা বৃষ্টিতে নগরবাসীর অতিষ্ঠর মাত্রা বাড়িয়েছে কয়েক গুণ। বরিশাল নগরীর কাউনিয়া, সদর রোড, হাসপাতাল রোডসহ বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দারা জানান, আগে থেকেই মশার উৎপাত ছিল। এরপর আবার আজ টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়ে মশার উৎপাত বেরেছে কয়েক গুণ। ঘরে মশার কয়েল জালিয়েও টেকা যাচ্ছে না।বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, নিধনের ওষুধ না থাকার অযুহাতে দীর্ঘ সময় বরিশাল মহানগরীতে মশা নিধন বন্ধ থাকা নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। গণমাধ্যমের ওই সব প্রতিবেদনে কর্তাদের বক্তব্য ছিল, মশা নিধন এই শুরু হবে, হচ্ছে। বাস্তবে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা কিংবা আদৌও মশা নিধন শুরু হবে কিনা তা নিয়েই সন্দেহের কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা। এমন অবস্থায় মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও চিকনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মশা নিধনে ২ ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। লার্ভি ডিসাইড যা মশা ধ্বংস করে আর অ্যাডাল্ট ডিসাইট যা মশার ডিম নষ্ট করে। এ দুই ওষুধের কোনোটাই গত এক বছর ধরে সিটি কর্পোরেশনে মজুদ নেই।নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মশার ওষুধ কেনার জন্য টেন্ডার আহ্বানও করা হয়নি। কারণ এর আগে টেন্ডার দিলেও কোনো ঠিকাদার তাতে অংশ নেয়নি। এছাড়া দৈনিক একটি ওয়ার্ডে ৫ লিটার মশার ওষুধ ব্যবহার করা দরকার। সে অনুযায়ী নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে দৈনিক ১৫০ লিটার মশার ওষুধ ছিটানোর প্রয়োজন। কিন্তু এখন এক লিটার ওষুধও ছিটানো হচ্ছে না। ওই কর্মকর্তাও জানান, মশার যন্ত্রনায় আমার বাসা এমনকি নগরভবনের কর্মচারীরাও অতিষ্ঠ। মশা নিধনের পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Post Views:
১,৫৪৩
|
|