প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বিসিসি’র কোটি টাকার জেনারেটর গায়েবের ঘটনায় এবার তদন্তে গোয়েন্দা সংস্থা
Tuesday December 26, 2017 , 9:41 pm
টাকা আত্মসাতের বিষয়টির সত্যতা উঠে আসলে পরবর্তীতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে
বিসিসি’র কোটি টাকার জেনারেটর গায়েবের ঘটনায় এবার তদন্তে গোয়েন্দা সংস্থা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বিভিন্ন সংবাদপত্র সহ অন লাইন নিউজ মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) কর্তৃপক্ষে পাশাপাশি এবার মহাদুর্নীতির তদন্তে নেমেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিভাগের তদারকি এবং সরকারী কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। বিসিসি’র নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতির সাথে জড়িত বিসিসি’র সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং জড়িত কর্মকর্তারা নিজেদের এ মহাদুর্নীতির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ঠিকাদারের কাছে ধরনা ধরছেন। এমনকি নিজেদের বাঁচাতে ওই কর্মকর্তারা ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকে ম্যানেজ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, প্রকাশিত অনুসন্ধানী সংবাদটি তাদের নজরে আসার পর সোমবার সকাল ১০ টায় এক জরুরী সভার মাধ্যমে তিনি প্রাথমিকভাবে প্রধান প্রকৌশলী খান মুহাম্মদ নুরুল ইসলামকে প্রকাশিত অনুসন্ধানী সংবাদের বিষয়ে তদন্ত করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান কর্তৃক দুই কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে একাই ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টির সত্যতা উঠে আসলে পরবর্তীতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিসি’র নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রকাশিত সংবাদের জেরধরে মঙ্গলবার সকাল থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিভাগের তদারকি এবং সরকারী কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা সরেজমিনে তদন্তের কাজ শুরু করেছেন। উল্লেখ্য, পাঁচ বছর আগে নগরীতে সাপ্লাইয়ের পানি সরবরাহর পাম্পের জন্য ১০টি উন্নতমানের জেনারেটর সরবরাহের জন্য বরিশাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বিদেশী অর্থায়নে প্রায় দুই কোটি টাকা বরাদ্দ আনে। স্থানীয় ঠিকাদার মনজুরুল আহসান ফেরদৌস দরপত্রের মাধ্যমে জেনারেটর ক্রয়ের কার্যাদেশ পান। কিন্তু সরবারহ পরবর্তী স্থাপনের সময় প্রায় সবগুলো জেনারেটর বিকল দৃশ্যায়িত হয়। বিসিসির পাশাপাশি গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরাও চেষ্টা করে তা সচল করতে পারেননি। যে কারনে তৎকালীন মেয়র শওকত হোসেন হিরণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বিল প্রদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। কিন্তু এর কয়েক মাস পর নির্বাচন চলে আসায় ওই মেয়রের পদত্যাগ পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহনের পর দুই বিভাগের কতিপয় প্রকৌশলীর যোগসাজসে ঠিকাদার পুরো বিল উত্তোলন করে নেয়।