অভাব অনটনে ছাত্ররা, বাল্যবিবাহের কারণে ছাত্রীরা ও আরো কিছু কারণে এখানে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীরা
বাল্য বিয়ের কারণে জেএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত বরিশালের ৪১ ছাত্রী!
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতায় জেএসসি পরীক্ষায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩ হাজার ৫১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৯ জন পরীক্ষার্থী শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়েছে। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৮ জন ছাত্র ও ৪১ জন ছাত্রী রয়েছে। অভাব অনটনে ছাত্ররা, বাল্যবিবাহের কারণে ছাত্রীরা ও আরো কিছু কারণে এখানে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা জীবন থেকৈ ছিটকে পড়েছে। অনুসন্ধান করতে গিয়ে এমন তথ্যই মিলছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১ নভেম্বর শুরু হওয়া অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়ার স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় গৌরনদী উপজেলার ৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩ হাজার ৫১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো। গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুপস্থিত ১৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮ ছাত্র ও ৯ ছাত্রী, পালরদী মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে অনুপস্থিত ১৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ ছাত্র ও ৭ ছাত্রী, বার্থী তাঁরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুপস্থিত ১৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ ছাত্র ও ৪ ছাত্রী, শরিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুপস্থিত ১১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ ছাত্র ও ১০ ছাত্রী, টরকী বন্দর ভিক্টোরী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুপস্থিত ৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ ছাত্র ও ৬ ছাত্রী, মাহিলাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুপস্থিত ৭ পরীক্ষাথীর মধ্যে ২ ছাত্র ও ৫ ছাত্রী রয়েছে। সংশ্লিষ্ট স্কুল থেকে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র গ্রহন করেনি। চলতি জেএসসি পরীক্ষায় ১ হাজার ৫৮০ জন ছাত্র ও ১ হাজার ৮৭০ ছাত্রী অংশ গ্রহন করেছে। বার্থী তাঁরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের জেএসসি পরীক্ষার্থী স্বর্না আক্তার বলেন, আমার সহপাঠী শারমিন আক্তারের বিয়ে হওয়ায় সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। অপর সহপাঠী নারগিসের বিয়ে হলেও সে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট ও একাধিক সূত্রে নিশ্চিত করেছে অনুপস্থিত এ ৪১ ছাত্রীর প্রায় সবারই বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তারা শিক্ষা জীবন থেকৈ ঝরে পড়েছে। এটি উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ অলিউল্লাহ। গৌরনদীর ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টিটু চ্যাটার্জি জানান, তার ধারনা অনুপস্থিত ছাত্রীরা বাল্যবিয়ের ও অসুস্থতার কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। সরকারে উপবৃত্তি প্রকল্পসহ নানা প্রকল্প আগের মতো চালু থাকলে ঝরে পড়ার হার অনেক কমে আসার প্রত্যাশা করছেন তিনি।