Current Bangladesh Time
রবিবার জানুয়ারি ১৯, ২০২৫ ৪:৪৩ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বাবুগঞ্জে গভীর রাতে রাহুতকাঠি বন্দরের রাইস ও স্ব-মিলে অগ্নিসংযোগ 
Friday March 23, 2018 , 7:20 pm
Print this E-mail this

মিল মালিকের মাদকাসক্ত ছোট ভাইয়ের দিকে অভিযোগের আঙুল !

বাবুগঞ্জে গভীর রাতে রাহুতকাঠি বন্দরের রাইস ও স্ব-মিলে অগ্নিসংযোগ


বাবুগঞ্জে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাহুতকাঠি বন্দরের মেসার্স হাওলাদার রাইস এ্যান্ড স্ব-মিলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়ে গেছে মিলের যন্ত্রাংশসহ গোটা স্থাপনা। মিলের মেশিন থেকে ডিজেলের পাইপ কেটে সেই ডিজেল ছিটিয়েই পরিকল্পিতভাবে ওই অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। এদিকে সকালে ষোষণা দিয়ে রাতে ওই মিলে আগুন লাগিয়েছে মালিকের মাদকাসক্ত ছোটভাই জসিম হাওলাদার (৪০) এমন অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। ডিজেল ছিটানোর কাজে ব্যবহৃত একটি মগ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় বাসিন্দারা আগুনের কুন্ডলী দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে উজিরপুর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দেড় ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই ভস্মীভূত হয় ওই রাইস এ্যান্ড স্ব-মিলটি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ লক্ষাধিক টাকা বলে জানিয়ে মিল মালিক রাহুতকাঠি বন্দরের ব্যবসায়ী হাজী মোঃ শাহীন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ছোটভাই জসিম বৃহস্পতিবার সকালে মিলের ম্যানেজার মোহন ঘরামির কাছে তাদের স্ব-মিল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল এবং দুপুরে তার ছেলে হাফেজ রায়হান সিফাতের কাছেও অভিন্ন হুমকি দেয় সে। এর আগেও একবার সে মিলে হামলা চালিয়ে বৈদ্যুতিক মিটার ও সুইচ বোর্ড ভেঙে ফেলেছিল। এছাড়াও মাদকাসক্ত জসিম বিভিন্ন সময়ে তার কাছে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দাবি করে আসছিল। স্থানীয় দেহেরগতি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কিছুদিন আগেও তাকে ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয় এবং এ পর্যন্ত তিনবার সে ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে বলে জানান মিল মালিক হাজী শাহীন। নেশাগ্রস্থ জসিম ক্ষিপ্ত হয়েই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অনুরূপ দাবি করেন তার সহোদর রোকেয়া বেগম ও ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলামও। ঘটনার পর থেকেই জসিম পলাতক রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। তবে অভিযুক্ত জসিম হাওলাদার মুঠোফোনে এ অগ্নিসংযোগের অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করে বলেন, আমি নেশার জগত ছেড়ে বর্তমানে তাবলীগ জামায়াত করি। তাছাড়া নেশাগ্রস্থ হলেও নিজের আপন বড় ভাইয়ের এতবড় সর্বনাশ করতে পারি না। এটা তৃতীয় পক্ষের কাজ। এ প্রসঙ্গে বাবুগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আবদুস সালাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি পরিকল্পিত নাশকতা বলেই মনে হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ মলিকপক্ষের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




Archives
Image
সাইফ আলী খানের ওপর হামলাকারী বাংলাদেশি, সন্দেহ পুলিশের
Image
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
Image
ফ্যাসিস্টের দোসররা দেশে বিশৃঙ্খলা করছে : সেলিমা রহমান
Image
ইনসাফ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে : জামায়াত আমির
Image
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দলকে শক্তিশালী করতে হবে : আব্দুল আউয়াল মিন্টু