|
বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় ভূঁয়া ডাক্তার কিশোরীকে পুশ করল অচেতন ইনজেকশন
বাবা আমি না তোমার মেয়ে – মনি কর্মকার
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার ১নং রায়হানপুর ইউনিয়নের কাকচিড়া গ্রামে ১৬ বছরের এক কিশোরী কন্যাকে শাসন করতে শরীরে অচেতন ইনজেকশন দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্থানীয় সুএে জানা যায়, একই ইউনিয়নের মাদারতলী গ্রামের লাল মিয়ার পুএ মোঃ রফিকুল ইসলাম কাকচিড়া বাজারে এম বি বি এস ডাক্টার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অপচিকিৎসা করে আসছে, উল্লেখ্য, কাকচিড়া গ্রামের গোবিন্দ কর্মকারের অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোরী কন্যা মনি কর্মকারের সাথে পার্শ্ববর্তী একই পাড়ার অভিনাস নন্দীর পুএ বাপ্পি নন্দী কাকচিড়া বাজারের মিষ্টির দোকানের কর্মচারীর সাথে ২বছর যাবত অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে, প্রেমিক/প্রেমিকার গভীর সম্পর্ক তৈরী হলেও ধর্মের বিধান মতে দুই পদবী হওয়ায় বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না কিশোরীর পরিবার বর্গ।কোন ভাবে মেয়েকে প্রেমের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে কাকচিড়া বাজারে এক কু-চক্রি উৎকোচ গ্রহন কারী দালাল একাধিক মামলার আসামী ভুমি দস্যু অপচিকিৎসক ডাঃ রফিকুল ইসলাম কিশোরীর বাবাকে ফাঁসিয়ে দিয়ে অর্থ আৎসাত করার এক সু-কৌশল নিয়ে রাত ১০টার সময় গোবিন্দ কর্মকারের বাড়ীতে যায়।ডাঃ রফিকুল ইসলাম মনি কর্মকারের ব্যাক্তি স্বাধীনতাকে হরন করার জন্য তার পরিবারকে কু-পরামর্শ দেয়।বর্তমানে মনি কর্মকারের বোনের চিকনগুনিয়া জ্বর হয়েছে, মনি কর্মকারের হতে পারে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।এই বলে ভূঁয়া চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম চিকনগুনিয়া জ্বরের ঔষধ বলিয়া শরীরে অচেতন ইনজেকশন দিয়ে কিশোরীকে অজ্ঞান করে অন্য জায়গায় পাচার করার জন্য মঠবাড়িয়া নিয়া যায়।এ ব্যাপারে কাছে মনি কর্মকার অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন আমি বাসায় ছিলাম।আমার বোনের জ্বর হলে, বোনের জ্বরের বরাত দিয়ে আমার শরীরে আগাম জ্বরের ঔষধ বলিয়া, অচেতন ইনজেকশন দেয়।আমি ডাকচিৎকার করিলে কোন কথা না শুনিয়া আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে বিবাহ দিতে চায়।আমি রাজি না বিধায় আমার বাবা গোবিন্দ কর্মকার,পুর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘরের দরজা বন্ধ করলে ডাঃ রফিকুল ইসলাম আমার শরীরে অচেতন ইনজেকশন পুশ করে,আমি অজ্ঞান হয়ে পরলে আমাকে মঠবাড়িয়া পর্যন্ত নিয়া গেলে রাত ১টায় আমার জ্ঞান ফিরে আসলে কোথায় নিয়ে এসেছো জিগাসা করিলে ডাঃ রফিকুল ইসলাম আমাকে মারধর করে ও মেরে ফেলার হুমকী দেয়।আমি তাদের চোখ আড়াল হয়ে আমার নিজ বাড়িতে চলে আসি।বর্তমানে নিরাপত্তা হিনতায় থাকায় আইনগত সহায়তা চেয়ে কাকচিড়া পুলিশ ফাড়িতে ডাঃ রফিকুলকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।এ বিষয় ডাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, মনি কর্মকারের বাবার কথায় চিকিৎসা করি।জানতে চাই নামের আগে ডাঃ লিখেছেন, তিনি বলেন ডাঃ লেখা আমার ভুল হয়েছে।এব্যাপারে পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,থানায় অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।মেয়ের অভিযোগের ব্যাপারে গোবীন্দ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার মেয়ে প্রতিবেশি একটি ছেলেকে পছন্দ করেন, যা আমার পক্ষে মেনে নেয়া কোনদিনই সম্ভব না।
Post Views:
১,৩৯২
|
|