প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বানারীপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ
Thursday October 25, 2018 , 6:44 pm
সুষ্ঠ বিচার না হলে আমার ছেলেকে এই স্কুল থেকে নিয়ে যাব এবং ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করব
বানারীপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ
মোঃ আনিছুর রহমান মিলন : বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের ৩০ নং চাখার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন এর বিরুদ্ধে বানারীপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবরে অভিযোগ দিয়ে আবেদন জানিয়ে সুবিচার প্রার্থনা দাবী করেছেন ওই স্কুলের এক অভিভাবক।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই অভিভাবক জানান, গত ৩০/০৯/২০১৮ইং তারিখ আমার ছেলে (চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র রোল নং ০৯) মোঃ সাজিদ আহম্মেদকে বিনা কারনে ষ্টীলের স্কেল দিয়ে অনেকগুলো আঘাত করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তাকে চাখার মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এই ঘটনার পর ছাত্রের মা শাহিদা খানম স্কুল ম্যানেজিং কমিটির কাছে বিচার দিলে ম্যানেজিং কমিটির সভায় তাকে এহেন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করেন। কিন্তু তারপরও তার সেই উগ্রভাব পরিবর্তন হয়নি। স্কুলে গিয়ে জানা যায় তার আরো অনেক উগ্র স্বভাবের কাহিনী। এই শিক্ষিকা স্কুলের শিশুদের নাকি প্রায়ই নির্যাতন করে আসছে। তবে কোন অভিভাবক এই ঘটনা নিয়ে কোন অভিযোগ না দেয়ায় সমস্যায় পরতে হয়নি। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ সেলিম সরদার জানায়, এই ম্যাডামকে এর আগেও আমরা কমিটির সদস্যরা অনেকবার এধরনের আচরণ করার জন্য মৌখিকভাবে বলেছি এবং পরবর্তীতে এধরনের কোন ঘটনা ঘটলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হব। শুধু কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরই না, এই ম্যাডাম স্কুলের অন্যান্য ম্যাডামদের সাথেও খারাপ আচরন করে বলে জানিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ সেলিম সরদার। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলে পাওয়া যায়নি, মূঠো ফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন এবং অভিযোগের তদন্ত করতে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষা অফিস থেকে টিম আসবে বলে জানান। এই ক্লাস্টারের দায়িত্বে সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আছাদ সাহেবকে (০১৭১২-০৭৩০৯০) নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। তার ফোনে কল ঢুকলেও সে ফোন রিসিভ করেননি। অভিযুক্ত ম্যাডামকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আসলে আমি প্রথম যখন এই কাজ করেছি, তখন আমার ভুল হয়েছে, কিন্তু পরবর্তীতে এই একই ঘটনা ঘটানো আমার অপরাধ। তাকে আবারও প্রশ্ন করা হলো, আপনি কি তাহলে সব স্বীকার করছেন। ম্যাডাম তখন বলেন আমার যা বলার তা অফিসে বলে এসেছি। সে কি বলে এসেছে যার পরিপ্রেক্ষিতে সে এখনো বহাল তবিয়াতে রক্তচক্ষু দেখিয়ে যাচ্ছে এটাই জানার বিষয়। যেখানে সরকারী ঘোষনা কোন কোমলমতি শিক্ষার্থীকে আঘাত করা যাবে না, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। সেখানে কেন এই অবস্থা। কেনই বা শিক্ষা অফিসে একজন অভিভাবকের কাজ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েও এর তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে গড়িমসি করছে। অভিযোগ কারিণী জানান এর সুষ্ঠ বিচার না হলে আমার ছেলেকে এই স্কুল থেকে নিয়ে যাব এবং ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করব।