২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনের পর থেকেই বানারীপাড়া আওয়ামীলীগ বিভক্ত হতে শুরু করে
বানারীপাড়া আওয়ামীলীগ কোন পথে
মোঃ আনিছুর রহমান মিলন : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। আমাদের মাতৃভাষা পুনরুদ্ধারের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। বিশ্বের মানচিত্রে লাল সবুজের পতাকা যোগ করতে যে সংগঠন সৃষ্টি করেছিলেন আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে সংগঠনের নেতা কর্মীরা আজ কোন পথে হাঁটছে। বানারীপাড়া আওয়ামীলীগ ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনের পর থেকেই বিভক্ত হতে শুরু করে। আর সে সুযোগে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনে অনুপ্রবেশকারীরা বিভক্ত নেতাদের কাছে প্রিয়পাত্র হয়ে উঠে এবং যার যার ব্যাক্তি স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের পদ পজিশন দিতে থাকে। এ কারনে ত্যাগী নেতা কর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় বিরূপ প্রতিক্রিয়া। দ্বিধা বিভক্তির কারনে ক্ষমতাধর নেতারা তাদের পছন্দের লোক কোনও কমিটিতে স্থান না পেলেই পাল্টা কমিটি করে সংগঠনের মধ্যে আরও বিভাজন সৃষ্টি করে দেয়। আর এ কারনেই বানারীপাড়া আওয়ামীলীগের অবস্থা এখন প্রায় কর্মী শূন্য হয়ে পড়েছে। এই বিরোধ ও বিভক্তি আরও প্রকট হয়ে দেখা দিতেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। জাতীয় সংসদের ১৩২ বরিশাল-২ (বানারীপাড়া/উজিরপুর) এ আসনে বর্তমান সাংসদ সংশ্লিষ্ট এলাকার না হওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীদের সাথে তার সম্পৃক্ততা অনেকাংশে কম। সে জন্য স্থানীয়ভাবে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় এবং কর্মী বান্ধব নেতা নির্বাচনের জন্য তৃণমূল নেতা কর্মীরা এখনই সোচ্চার হয়ে উঠছে। যদি কোনও কারনে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিতর্কবিহীন বা স্থানীয় নেতাকে মনোনয়ন দেয়া না হয় তবে আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাঁটির হিসেবে এ আসনের ফলাফল নিয়েও শঙ্কা দেখা দিতে পারে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, দু’একজন নেতার কারণেই এখানে বিভিন্ন সময় স্থানীয় নেতারা বঞ্চিত হচ্ছে এবং সেই নেতাদের আখের গুছিয়ে তৃণমূল নেতা কর্মীদের বঞ্চিত করছে। এখনি যদি আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রকরা বানারীপাড়া আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনকে সুষ্ঠভাবে সমন্বয় করতে না পারে তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর প্রভাব ফেলবে বলে তৃণমূল নেতা কর্মীদের অনেকের ধারণা ।