রাবেয়া বেগম একজন দুশ্চরিত্রা মহিলা, সে মা জাতির কলংক, তার জন্য এলাকায় কলংকের ছাপ পড়েছে
বানারীপাড়ায় পরকীয়ায় আসক্ত স্ত্রী স্বামীকে হত্যার হুমকি
পরকীয়া প্রেমের কারনে বানারীপাড়া থানার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের ইন্দেরহাওলা গ্রামের মিলন শেখের স্ত্রী রাবেয়া বেগমের সাথে তার চাচাত দেবর সোহেল শেখের সাথে বিগত দুই বছর যাবত অবৈধ সম্পর্কের কারনে তার স্বামীকে জীবননাশের হুমকি দেয়ায় মিলন শেখ জীবন বাঁচাতে নিজ গৃহ ত্যাগ করে যাযাবর জীবনযাপন করা শুরু করে। মিলন শেখের বক্তব্য অনুসরে তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও তার চাচাত ভাই সোহেল শেখের মধ্যে এ অবৈধ সম্পর্কের ব্যপারটি লোকসমাজে জানাজানি হওয়ার পরে এলাকার মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশির মাধ্যমে মীমাংসা করে দেন। মিলন শেখ তার তিনটি সন্তানের কথা চিন্তা করে লোকলজ্জার কারনে সন্মানিত সালিশগণের রায় মেনে নিয়ে দুশ্চরিত্রা স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতে রাজি হন। কিন্তু রাবেয়া ও সোহেল শেখের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক বিরাজমান থাকে। যার পরিণতি হিসেবে বিগত ০৬/০৫/১৮ইং তারিখে দিবাগত রাতে রাবেয়া বেগম ও সোহেল শেখকে অবৈধ মেলামেশা অবস্থায় বাড়ির লোকজন ধরে ফেলে। এখানে উল্লেখ্য ঐ দিনও মিলন শেখ বাড়িতে ছিল না। এ ঘটনা শুনে সে বাড়িতে আসে এবং এ ঘটনা সম্পর্কে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে কোপ দেয়ার চেস্টা করে। কিন্তু মিলন শেখ ধরে ফেলার কারণে কোপ দিতে পারেনি। তাদের ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন উপস্থিত হয়ে মিলন শেখকে উদ্ধার করে। এর পর থেকেই মিলন শেখ জীবন বাঁচানোর জন্য তার নিজ গৃহ ত্যাগ করে অন্যত্র থাকা শুরু করে। সোহেল শেখ ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে মদদ দিতেছে সোহেল শেখের ভগ্নীপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন। এ ব্যপারে ঐ এলাকার ইউপি সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলাম রাজুকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান এ ঘটনা সত্য। আমি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ ঘটনার নিরসনের জন্য উভয় পক্ষকে ডেকে মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। কিন্তু রাবেয়া বেগম ও সোহেল শেখের মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো সে সম্পর্ক তারা রোধ করতে পারেনি বিধায় ঐ দুশ্চরিত্রা মহিলা রাবেয়া বেগম মিলন শেখকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে মিলন শেখ জানিয়েছেন। রাবেয়া বেগম একজন দুশ্চরিত্রা মহিলা, সে মা জাতির কলংক। তার জন্য এলাকায় কলংকের ছাপ পড়েছে। এ ব্যপারে রাবেয়া বেগমের স্বামী মিলন শেখ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিতেছে।