|
সাধারণ মানুষের ধারণা – এটা প্রশাসনের লোক দেখানো পদক্ষেপ
বানারীপাড়ায় অবৈধ বালু উত্তলন, প্রশাসনের লোকচুরির আশ্রয়
মোঃ আনিছুর রহমান মিলন : বানারীপাড়া উপজেলার আট ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাকে দ্বিখণ্ডিত করে বয়ে চলেছে সন্ধ্যা নদী। এ নদীর খরস্রোতে নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে বসত ভিটা, জায়গাজমি, ব্যবসা বানিজ্য হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে শত শত পরিবার নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে অনেক স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির। জনসাধারণের কথা ভেবে মহামান্য হাই কোর্ট একটি রিট পিটিশনের কারণে গত অর্থ বছরে এ নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা বন্ধ করে দিয়েছেন। ইজারা দেওয়া না হলেও বালু উত্তোলনের মহোৎসব বন্ধ হয়নি। কোন অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন ও নিরব ভুমিকা পালন করে। মিডিয়া অনেক লেখালেখির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর চেষ্টা করেও বালু উত্তোলন বন্ধ করতে ব্যর্থ হয় এবং আগের মত ইজারা ছাড়াই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যস্ত অসৎ ব্যক্তিগন। বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, মিরের হাট, জিরাকাঠী, কালির বাজার, খেজুর বাড়ী, বাইশারী ও কাজলাহার থেকে। বালু উত্তোলনের করনে এসব স্থানেই ভাঙ্গন কবলিত হচ্ছে বেশী। তাছাড়া বানারীপাড়ার ইট ভাটার মালিকরা জেগে উঠা চর থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় আনার কারনে ভাঙ্গন কবলিত হচ্ছে আরো বেশী।গত শক্রবার দেখা গেছে কাজলাহার/বাইশারী এলাকায় ৬/৭টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রশাসনকে অভিহিত করলে ড্রেজার আটক না করে তাদের চলে যেতে বলা হয়। কিন্তু প্রশাসনের লোক চলে আসার সাথে সাথে আবার সেখানে মহাসমহারে বালু উতোলন শুরু হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের ধারণা এটা প্রশাসনের লোক দেখানো পদক্ষেপ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নদী ভাঙ্গনের এক ভূক্তভুগি বলেন, আমরা এ ব্যপারে কিছু বলতে গেলে আমাদের হুমকি দেয়, মামলা দিয়ে শ্রীঘরে পাঠাবে, আর এই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত আছে ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী নেতা এবং জনপ্রতিনিধি। তাদের নির্দেশেনায়ই কি এই অবৈধ বালু উত্তোলনের জমজমাট ব্যবসা পরিচালিত হয় বা হচ্ছে? এমনটাই প্রশ্ন জনমনে।
Post Views:
১,৩৫৬
|
|