মামলার রজুর প্রক্রয়িা চলছে, সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে
বানারীপাড়ার বিশারকান্দিতে ছেলেকে বাঁচাতে মায়ের মৃত্যু !
বানারীপাড়ার বিশারকান্দিতে ছেলেকে রক্ষা করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার পারুল রায় (৭০) ১৯ দিনপর মারাগেছেন। রোববার সকালে ঘেেরর দরজা খোলা, ভেতরে তার লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। ঢাকায় অবস্থানরত ছেলে-মেয়েরা এসে পুলিশে খবর দিলে রাাতে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। গতকাল সোমবার লাশ ময়না তদন্তরে জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার (বানারীপাড়া-উজিরপুর সার্কেল) মো. আক্রামুল হাসান ও ওসি সাজ্জাদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত পারুল রায়ের ছেলে সুখ রায়রে বক্তব্য, এলাকার মহিলা ইউপি সদস্য হেলেনা বেগম ও সরেজমিনে এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে গত ২৭ মার্চ একটি গাছের নারিকেল পাড়াকে কেন্দ্র করে পারুল রায়ের ছেলে রিপনকে মারধর করে প্রতিবেশি সুভাষ রায় তার ছেলে পিন্টু রায় ও মেয়ে র্ঝনা রায়। এসময় ছেলেকে রক্ষা করতে মা পারুল রায় এগিয়ে গেলে পিন্টু ও র্ঝনা তাকে বেদম মারপিট করে। এতে পারুল গুরুতর আহত হয়। তাকে স্বরূপকাঠি নিয়ে নামকা চিকিৎসা করানো হয়। এলাকাবাসী তার চিকিৎসা করানোর জন্য দায়ীত্ব দেন সুভাষ রায়ের ভাই বিভাস রায়কে। শনিবার দিনগত রাতে ছেলেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে ঘুমাতে যান। পরের দিন রোববার সকালে বিভাস রায় পারুল রায়কে ফোন করেন। সে ফোন রিসিভ না করায় নিজে না গিয়ে পাশের ঘরের সূর্য রায়ের স্ত্রীকে দেখতে পাঠান। সে গিয়ে ঘরের দরজা খোলা এবং ঘরের মধ্যে পারুলকে মৃত দেখে ডাক চিৎকার দিলে লোকজন গিয়ে অবস্থা দেখে ছেলে মেয়েদের খবর দেয়। বিকেলে তারা আসারপর মেয়রা মায়ের শরীরের অবস্থা দেখে ময়না তদন্ত করানোর সিদ্ধান্ত নেয়। অপরদিকে দ্রুত সৎকার করানোর জন্য তৎপর হয়ে ওঠে বিভাস রায় ও সুভাষ রায় গংরা। এমনকি যাতে ময়না তদন্ত না হয় সেজন্য নানা ধরনের তদবীর শুরু করে। এসময় খবর দিলে লবনসরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর নকীব আক্রাম হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পারুল রায়ের বড় ছেলে শিমোন রায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার প্রক্রয়িায় ছিলেন। ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ এসপি সার্কেল ও তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মামলার রজুর প্রক্রয়িা চলছে। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।