পলাশের সন্তানকে বাঁচাতে সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন যে কেউ, কথা বলতে পারবেন ০১৭১৮-০৮৭২৬১ নম্বরে
বাকেরগঞ্জে সন্তানের চিকিৎসা খরচ যোগাতে পারছেন না সাংবাদিক পলাশ
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : নির্দিষ্ট সময়ের এক মাস আগেই সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে দুই ছেলে সন্তানের জন্ম দেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক এসএম পলাশের স্ত্রী সাহিদা বেগম। তাদের বাড়ি উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে। এক সঙ্গে দুই সন্তানকে পেয়ে খুশির কমতি ছিল না এ দম্পতির। পারিবারিকভাবে তাদের নামও রাখা হয়। আগে জন্ম নেয়া সন্তানের নাম রাখা হয় অলভি ইসলাম শয়ন। আরেকজন হলো আলিফ ইসলাম অয়ন। সে বর্তমানে সুস্থ আছে। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়েছে বড় সন্তান অলভি ইসলাম শয়ন। সে বর্তমানে রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত শিশু হাসপাতালের আইসিইউর ৮নং বেডে চিকিৎসাধীন। শিশুটির বাবা এসএম পলাশ জানান, গত ২২ নভেম্বর বরিশালের বেলভিউ হাসপাতালে যমজ দুই শিশুর জন্ম দেন তার স্ত্রী। জন্মের পর ভালোই ছিল তারা। দুদিন পর হঠাৎ অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে বড় ছেলে অলভি ইসলাম শয়নের। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনদিন ডাক্তার আশিষ কুমারের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকার পরও অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় তাকে নগরীর বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২১ দিন চিকিৎসা দিয়েও অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় চারদিন আগে ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত শিশু হাসপাতালে শয়নকে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানান, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শয়নের রক্তে ভাইরাস ধরা পড়েছে। তাকে রক্ত দিলেও শরীরে থাকছে না, বের হয় আসছে। এছাড়াও তার শরীরে পটাশিয়ামসহ বিভিন্ন ঘাটতির কথা জানিয়েছেন ডাক্তাররা। বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ‘বিপ্লবী বাংলাদেশ’ নামে পত্রিকায় কর্মরত পলাশ জানান, সন্তানের পেছনে ইতোমধ্যে তিন লাখ টাকা খরচ করেছি। আর পারছি না। শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা বাবদ ও ওষুধসহ প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে শয়নের জন্য। জানি না এখানে আর কতদিন থাকতে হবে। তিনি বলেন, কেউ যদি আর্থিকভাবে সাহায্য করতো শিশুটিতে বাঁচাতে শেষ লড়াই চালিয়ে যেতাম। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় সন্তানকে বাঁচানোর হাল ছেড়ে দিয়েছি বলা যায়। সাংবাদিক পলাশের সন্তানকে বাঁচাতে সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন যে কেউ। কথা বলতে পারবেন – ০১৭১৮-০৮৭২৬১ নম্বরে।