Current Bangladesh Time
শুক্রবার মে ১৬, ২০২৫ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল-২ আসনে নৌকার মাঝী হিসেবে চান শাহে আলম 
Sunday November 25, 2018 , 11:44 am
Print this E-mail this

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে তৃনমূল থেকে তার কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে অভিষেক

বরিশাল-২ আসনে নৌকার মাঝী হিসেবে চান শাহে আলম


মোঃ আনিছুর রহমান মিলন : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সফল ও জনপ্রিয় সভাপতি, ৯০’র স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণ অভূত্থানের অন্যতম নায়ক দুঃসমেয়র ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা শাহে আলমকে নৌকার মাঝী হিসেবে দেখতে চান তৃনমূল নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যে তিনি এ আসনে নৌকার মাঝী হওয়ার অভিপ্রায়ে দলের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এ আসনে নৌকার টিকিট চেয়ে তিনি সহ ২২ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী আদর্শের অগ্রসৈনিক শাহে আলম বার বার ত্যাগ শিকারের মাধ্যমে দলের প্রতি তার আনুগত্য, অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও বিশ্বস্তার জানান দিয়েছেন। স্কুল জীবনে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে হাতেখড়ি তার। ৭৫’র ১৫ আগষ্টের পরে যখন বঙ্গবন্ধুর নাম নিতেও মানুষ ভয় পেতো তখন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবীর আন্দোলন গড়ে তুলতে ও আ’লীগকে পুর্নজ্জীবিত করতে বরিশাল অঞ্চলে হাতে গোনা যে ক’জনের ভূমিকা রয়েছে বরিশাল বিএম কলেজের তৎকালীণ ছাত্র শাহে আলম তাদের মধ্যে অন্যতম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে তৃনমূল থেকে তার কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে অভিষেক ঘটে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, পাঠাগার সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, সহ-সভাপতি ও সর্বশেষ সভাপতির আসন অলঙ্কিত করেন তিনি। ১৯৮১ সাল থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগকে সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত সংগঠনে রুপান্তর করা ও সৈররাচার বিরোধী আন্দোলনে সংগ্রামে অগ্রণী ভ’মিকা রাখায় মুগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা ৯০ সালে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের তৎকালীণ সভাপতি ও সম্পাদকের পরিবর্তে সহ সভাপতি সুদর্শন শাহে আলমকে ভিপি প্রার্থী করেন। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ভেঙ্গে যাওয়ায় তিনি ছাত্রদল প্রার্থী আমান উল্লাহ আমান’র কাছে হেরে যাওয়ার পরেও সাংগঠনিক দক্ষতার কারনে তাকে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ওই সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও ক্যাডারদের দখল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো মুক্ত করতে তিনি তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও কলা কৌশল কাজে লাগান। বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকার আমলে (৯১-৯৬ ও ২০০১-২০০৬) বানারীপাড়া, স্বরূপকাঠি ও উজিরপুর সহ বরিশালে আ’লীগকে সুসংগঠিত করে সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে আ’লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদক শাহে আলমকে অসংখ্য মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার আসামী হওয়া সহ নানা ভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। এলাকার পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় পর্যায়েও চারদলীয় জোটের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে জোট সরকারের রোষানলে পড়েন। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে গিয়ে তাকে মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়। ওয়ান ইলেভেনে দলের পক্ষে তার ব্যপক ভূমিকা থাকার পরেও তাকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়া কিংবা কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ না দেওয়ায় নেতা-কর্মীরা হতবাক হন। ১৯৯১, ৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি ও পরবর্তীতে বানারীপাড়া-উজিরপুর আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পেতে ব্যর্থ হলেও বিদ্রোহী প্রার্থী না হয়ে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে দলের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৪ সালে বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে বহিরাগত বরিশাল জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুসের সঙ্গে তিনি যৌথভাবে দলীয় মনোনয়ন পান। পরবর্তীতে এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুসকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলে তিনি নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসীর বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার দাবী উপেক্ষা করে দলীয় সভানেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। অথচ ওই নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হলে আঞ্চলিকতার টানে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে বিজয়ী-ই হতেন। কিন্তু দলের বৃহত্তর স্বার্থে ও আ’লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে তিনি সেপথে না গিয়ে ত্যাগের মহিমায় নিজেকে উদ্ভাসিত করেন। এবার তার মনোনয়নের দাবীতে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা একাট্টা হয়েছেন। তার রয়েছে সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল বিশাল কর্মী বাহিনী। বিএনপির স্থানীয় প্রার্থীকে পরাজিত করে এ আসনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে ও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে মাটি ও মানুষের নেতা কর্মী বান্ধব শাহে আলমের বিকল্প নেই বলেও নেতা-কর্মী ও সমর্থক সহ রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহলের অভিমত। আ’লীগ নেতা-কর্মীদের বিশ্বাস এবার জননেত্রী দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী ও আ’লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার বিচক্ষন্নতা দিয়ে দুঃসময়ের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা মুজিব অন্তঃপ্রাণ শাহে আলমকে তার ত্যাগ ও যোগ্যতার যথার্থ মূল্যায়ন করবেন।




Archives
Image
বরিশালে পালিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঢাকায় গ্রেপ্তার!
Image
আমু-সাদিক-খোকনসহ ২৪৭ জনের নামে মামলা
Image
রাজধানীর ৯ স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ : ডিএমপি
Image
বরিশালে নার্সিং শিক্ষার্থীদের পৃথক বিক্ষোভ
Image
বরিশালে ছাত্রদলের সাম্য হত্যার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি