|
জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আল আমিন রোষানালে, উদ্ধার করলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মইদুল
বরিশাল সেটেলমেন্ট আদালতে তুলকালাম কান্ড !
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আল আমিনকে নিয়ে বরিশাল সদর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারের আদালতে তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। গতকাল দুপুর দেড়টার দিয়ে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার শেখ শহিদুল ইসলামের আদালতে এ নেক্কারজনক ঘটনা ঘটে। এসময় জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আল আমিন নিজেকে বাঁচাতে সেটেলমেন্ট অফিসার শেখ শহিদুল ইসলামের পাশে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সূত্র জানায়, বরিশাল নগরীর নবগ্রাম রোডে ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন এক খন্ড জমি জেলা পরিষদের মধ্যে কেটে এনে সিভিল কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আল আমিন। আর জেলা পরিষদের পক্ষে সার্ভেয়ার আল আমিনের দায়ের করা মামলার শুনানী ছিল গতকাল। সে গতকাল শুনানী চলাকালীন সময়ে আদালতে উপস্থিত হলে জমির মূল মালিক মোঃ নজরুল ইসলাম খান জমির মালিকাদাবী করে আদালতে কাগজপত্র দেখান। এসময় সার্ভেয়ার আল আমিনের কাছে জমির মূল মালিক নজরুল ইসলাম খান জানতে চায়, আপনি কি করে আমার জমি জেলা পরিষদের দাবী করে আমার নামে মামলা দায়ের করেছেন। আপনি তো একটি পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে আমাকে হয়রানী করে আসছেন। এসময় দু’জনার মধ্যে কথাকাটির এক পর্যায়ে সার্ভেয়ার আল আমিন তাদের রোষানালে পড়েন। এসময় সার্ভেয়ার আল আমিন বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মইদুল ইসলামকে খবর দিলে চেয়ারম্যান সেটেলমেন্ট অফিসার শেখ শহিদুল ইসলামের আদালতে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেটেলমেন্ট অফিসারকে বলেন, এক খন্ড জমি নিয়ে জেলা পরিষদ ও নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি মালিকানা দাবী করে আসছে। প্রকৃতপক্ষে সেই জমিটির মূল মালিক কে কাগজপত্র দেখে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে সেটেলমেন্ট অফিসারকে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করেন তিনি। সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরীর নবগ্রাম রোডের ২২ নং ওয়ার্ডে যুবক হাউজিং এর বিপরীতে এক খন্ড জমি নিয়ে স্থানীয় নজরুল ও বাসারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলে আসছে। এরই মধ্যে বরিশাল জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আল আমিনকে স্থানীয় সাইফুল ইসলাম বসার নামের এক যুবক মোটা অংকের টাকা দিয়ে সেই জমির মালিক মোঃ নজরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সিভিল কোর্টে একটি মামলা দায়ের করান। বর্তমানে সেই জমিতে ৪তলা একটি ভবন রয়েছে। মামলা সূত্রে গেছে, নবগ্রাম রোডের ৫৫৭ নং দাগের আ: আজিজ খান, আ: জলিল খান, আ: জব্বার খান গংদের জমির সাথে ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরেসলামের কিছু জমি ছিল। আর সেই জমি থেকে কাউন্সিলর নুরেসলাম দেড় শতাংসের একটু কম জমি জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী মোঃ নজরুল ইসলাম খানকে দান করেন। তার সেই দানকরা জমিতে ঋন ও আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে উক্ত জমিতে ৪তলা একটি ভবন নির্মান করেন অন্যর সহযোগীতায় পথচলা মোঃ নজরুল ইসলাম খান। আর তাতেই চোখ বাঁকা সেই জমি খন্ড নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেনে পরে এবিএম মহসিন খান বাসার নামের এক ব্যাক্তি। সে সরকার কর্তৃক বন্ধ হওয়া ডেসটেনি ২০০০ এর বরিশালের এক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন। বাসারের বিরুদ্ধে ডেসটেনির গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা মেরে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বর্তমামে সে নগরীর হাতেমআলী চৌমাথা সংলগ্ন নবগ্রাম রোডে এমএএলম ব্যবসা ওর্য়াল্ডভিশন ২০০০ (হায় হায় কোম্পানী)’র আড়ালে হাজার হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও এই বাসারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ধারের নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে টাউটখ্যাত এ বাসারের বিরুদ্ধে। এই টাউন যুবক বাসার নজরুলের মালিকানাধীন উক্ত জমি খন্ড নিয়ে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আল আমিনকে হাত করে ষড়যন্ত্রে নেমেছে। বাসার বরিশাল জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আল আমিনকে মোটা অংকের টাকা পকেটে পুরে দিয়ে প্রতিবন্ধী নজরুলের উক্ত জমি খন্ডকে বরিশাল জেলা পরিষদের আলেকান্দা মৌজার জমির মধ্যে কেটে নিয়ে তাকে অবৈধ দখলদার দেখিয়ে সিভিল কোর্ট একটি মামলা দায়ের করার করার। মূলত নজরুলের জমিখন্ড নিয়ে সার্ভেয়ার আল আমিনকে দিয়ে মামলার কারনের রহস্য অন্য। তা খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, নজরুলের জমিটির পাশেই পটুয়াখালীর বাসিন্দা প্রবাসীর মোমেন সিকদার ও তার স্ত্রী নাসরিনের মালিকানাধীন সাড়ে ৭ শতাশং জমি রয়েছে। আর স্বামী সাড়ে ৭ শতাংশ জমি টাউট বাসার দখল নিতে দীর্ঘদিন যাবত চেষ্টা চালিয়ে আসছে। আর তাতে বাধা নিচ্ছে মোঃ নজরুল ইসলাম খান। এতে বাসার ক্ষিপ্ত হয়ে নজরুলের জমি খন্ডের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আল আমিনকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে সিভিল কোর্টে এমটি মামলা দায়ের করান। বাসারের হুঙ্কার কোটি টাকা খরচ হলের নজরুলের বিল্ডিং ভেঙে ওই জমি থেকে তাকে উচ্ছেদ করতে চাই। আমার পথে কেউ কাটা হলে তার মাসুল গুনতে হবে।
Post Views:
১৩৩
|
|