|
কাউন্সিলররা ভোটাভুটির মাধ্যমে কাকে নির্বাচিত করেন তার জন্যও এখনো বেশ কয়েকমাস অপেক্ষা করতে হবে
বরিশাল সিটি নির্বাচন : প্যানেল মেয়র দৌড়ে তদ্বিরে এগিয়ে আছেন যারা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার এক মাস পূর্ণ হল আজ বৃহস্পতিবার। সংখ্যার গণনায় এক মাস পূর্ণ হতে চললেও এখন পর্যন্ত বিসিসির ৩০টি ওয়ার্ডেরই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। সঙ্গত কারনে গেজেটও প্রকাশ করা যায়নি। তবে বিপুল ভোটে জয়ী আওয়ামী লীগের সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তা শতভাগ নিশ্চিত। এছাড়া ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের প্রায় বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলররা জয়ী হতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পরপরই শোকের মাস আগস্ট শুরু হয়ে যাওয়ায় নির্বাচন কেন্দ্রিক অনেক কিছু যেন থমকে আছে। তবে এরই মধ্যে ভোটের দিনে সংঘটিত বিভিন্ন অনিয়মের কারনে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহন ও ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়। এরপর কাউন্সিলর প্রার্থীদের আরও ১৪টি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রদান করায় মোট ৩০টি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে নির্বাচন কমিশন। কয়েক দফায় তদন্ত চলার পর এখন নতুন করে আবারও চলছে তদন্ত। তবে আশা করা হচ্ছে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই এব্যাপারে নির্বাচন কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। এরপর গেজেট প্রকাশ, নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহন এবং দায়িত্ব গ্রহন সব মিলিয়ে আগামী অক্টোবর মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। কেননা ওই তারিখের আগে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে না। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে নতুন পরিষদ দায়িত্ব গ্রহনের পর নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের ভোটে প্যানেল মেয়র নির্বাচন করা হবে। এবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনে হাতে এখনো অনেক সময় থাকলেও প্যানেল মেয়র পদ পেতে আগ্রহীরা ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত করেছেন। আগ্রহী প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে এনিয়ে আলোচনার পাশাপাশি করনীয় ঠিক করে রাখছেন। শোকের মাস আগস্টের কারনে তারা এখন পর্যন্ত প্রকাশ্য হতে না পারলেও খুব শীঘ্রই এদের এ সংক্রান্ত কার্য পরিধী আরো বাড়বে বলে সূত্র জানিয়েছে। বিসিসির বর্তমান পরিষদে ১নং ও ৩নং প্যানেল মেয়র হিসেবে রয়েছেন বিএনপি সমর্থিত দুই কাউন্সিলর। তবে এবারের নির্বাচনে ওই দুই কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র-১ কেএম শহীদুল্লাহ এবং প্যানেল মেয়র-৩ শরীফ তসলিমা কালাম পলি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের কাছে হেরে গেছেন। এছাড়া বর্তমান পরিষদের ২নং প্যানেল মেয়র আওয়ামী লীগের মোশাররফ আলী খান বাদশা এবারের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আগামী পরিষদের ৪০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে কোন তিন জন প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন তা নিয়ে প্রকাশ্যে অ-প্রকাশ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ গত ৩০ জুলাই যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তার ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যারা বিজয়ী হতে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোশাররফ আলী খান বাদশা ও সংরক্ষিত ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত আয়শা তৌহিদ লুনা বাদে অন্য কারো প্যানেল মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করার কোন অভিজ্ঞতা নেই। জানা গেছে, আগামী পরিষদে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মোশাররফ আলী খান বাদশা, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত গাজী আকতারুজ্জামান হিরু এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত রফিকুল ইসলাম খোকন ওরফে মামা খোকনের নাম প্যানেল মেয়র ১ ও ২ হিসেবে আলোচিত হচ্ছে। এছাড়া প্যানেল মেয়র-৩ (যেটি সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের জন্য নির্ধারিত) হিসেবে আয়শা তৌহিদ লুনা, কোহিনুর বেগম, সালমা আক্তার শিলার নাম শোনা যাচ্ছে। যদিও প্যানেল মেয়র নির্বাচনে কে কে প্রার্থী হয় এবং কাউন্সিলররা ভোটাভুটির মাধ্যমে কাকে নির্বাচিত করেন তার জন্যও এখনো বেশ কয়েকমাস অপেক্ষা করতেই হবে।
Post Views:
১,৪৬৭
|
|