মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্লান অনুমোদনে জটিলতা, হয়রানির প্রতিবাদ ও ১০ দফা বাস্তবায়নে মানববন্ধন করেছে বরিশাল নাগরিক অধিকার আন্দোলন। বুধবার (ডিসেম্বর ১৮) বেলা ১২ টায় ফজলুল হক অ্যাভিনিউস্থ নগর ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। বরিশাল নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক মো: মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভবন নির্মাণে দীর্ঘদিন ধরে এলইউসি ও প্লান দেয়া বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুুখীন হচ্ছেন বাসিন্দারা। প্লান অনুমোদনের জন্য নগর ভবনে গেলে বিভিন্ন ধরণের হয়রানির শিকার হতে হয়। বিশেষ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ না দিলে ফাইল ধরেন না।এমনকি বিগত দিনে মেয়র-কাউন্সিলরদেরও পার্সেন্টেজ দিয়ে প্লান পাস করাতে হতো। শুধু ঘুষেই সীমাবদ্ধ ছিল না, রাজনৈতিক দল বিবেচনায় ভবন নির্মানের প্লান দেওয়া হতো। অথচ নগরবাসীর সেবার জন্য নগর ভবনকে চালিয়ে রাখছে নগরবাসী। কিন্তু নগরভবনে সেবা নিতে এসে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় নগরবাসীর। এসময় বকক্তারা আরও বলেন, ইমারত নির্মান বিধিমালা ১৯৯৬ এর উপ-বিধি (৭) অনুসারে ৪৫ দিনের মধ্যে প্লান অনুমোদন দেয়া ও গেজেট বহির্ভূত ও অকার্যকর মাস্টার প্লানের অজুহাত দাঁড় করানো বন্ধ করতে হবে। শহরের অধিকাংশ রাস্তার প্রশস্ততা কম থাকায় গতাণুগতিক ও প্রচলিত নিয়মে প্লানের অনুমোদন দিতে হবে। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ বহির্ভূত ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র প্রথা বাতিল করতে হবে। বিধিমালা ১৯৯৬ এর তফসিল-২ অনুসারে প্লান অনুমোদনের ফি নির্ধারণ করতে হবে। যে সমস্ত এলাকায় কিংবা বাড়িতে পানির সরবরাহ লাইন সংযোগ করা হয়নি সেই সব এলাকার জনগণকে পানির বিল হইতে অব্যাহতি দিতে হবে। ভবনে বসবাস শুরু করার পূর্বপর্যন্ত হোল্ডিং ও পানির বিল নেয়া যাবে না। প্লান অনুমোদনসহ সব ধরনের সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করতে হবে। পূর্বে ভরাটকৃত ব্যক্তিগত রেকর্ডিয় জমির শ্রেণিতে পুকুুর উল্লেখ থাকলে প্লান অনুমোদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। খালের পাড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের রেকর্ডিয় জমির ক্ষেত্রে ইমারত নির্মাণে জমি ছাড়ের ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত ও বাস্তবভিত্তিক সমাধান করতে হবে। এ ১০ দফা আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় মানববন্ধন থেকে বক্তারা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো: আবু সালেহ্ ও যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান হীরাসহ প্রমুখ। এর আগে ৭ ডিসেম্বর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের কাছে একই দাবীতে স্মারকলিপি দিয়েছিল বরিশাল নাগরিক অধিকার আন্দোলন।