রাজনীতির চেয়ে উন্নয়নকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে ভোটের মাধ্যমে মেয়র নির্বাচিত করবেন এমনটাই প্রত্যাশা বরিশাল বাসীর
বরিশাল সিটিতে উন্নয়নের জন্য হিরনের বিকল্প সাদিক
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের গত তিনটি নির্বাচনে বরিশালে দুইবার বিএনপি এবং একবার নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর দৃশ্যমান উন্নয়নে দেশব্যাপী আলোচনায় ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণ। উন্নয়নের সেই আলোচনায় আসতে পারেননি বিএনপির অপর দুই মেয়র। ফলে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে উন্নয়নের বিশ্লেষন নিয়ে সচেতন নাগরিক থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটাররা পাড়া ও মহল্লায় চায়ের কাপে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছেন অনেকেই। এবারের নির্বাচনে অতীতের সব ভুল সুধরে নিয়ে আগামী ৩০ জুলাই এর নির্বাচনে রাজনীতির চেয়ে উন্নয়নকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে ভোটারে মাধ্যমে উন্নয়নের পক্ষে ভোটাররা একজোট হয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছেন। সূত্রমতে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন মহানগর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার। তিনি চার বছর দায়িত্ব পালনের পর ওয়ান ইলেভেনের সময় দুর্নীতির মামলায় কারাগারে যান। নির্বাচনী ইস্তেহার অনুযায়ী তিনি উন্নয়নে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয় নির্বাচনে বিএনপি সরাসরি অংশগ্রহণ না করলেও তাদের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন শিল্পপতি এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। তাকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন তৎকালীন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত হোসেন হিরণ। তিনি (হিরণ) নির্বাচিত হওয়ার পর নগরীর দৃশ্যমান ব্যাপক উন্নয়ন ছড়িয়ে পরে দেশব্যাপী। তৃতীয় নির্বাচনে শওকত হোসেন হিরণকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন তৎকালীণ জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামাল। নির্বাচনী ইস্তেহার অনুযায়ী তিনি (বর্তমান মেয়র কামাল) উন্নয়নে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের ২ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৯ জন ভোটারের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ ভোটার অতীতের ভুল সুধরে নিয়ে আগামী ৩০ জুলাই এর নির্বাচনে রাজনীতির চেয়ে উন্নয়নকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে ভোটের মাধ্যমে মেয়র নির্বাচিত করবেন এমনটাই প্রত্যাশা বরিশাল বাসীর।