|
১২ কোটি টাকার ল্যাসিক মেশিন তিন মাস ধরে বিকল
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের চক্ষু রোগীরা অন্ধকারে
সাইদুর রহমান পান্থ, অতিথি প্রতিবেদক : তিন মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের ল্যাসিক মেশিনটি।১২ কোটি টাকার অত্যাধুনিক এ মেশিন থাকার পরও সেবা পাচ্ছে না দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলার চক্ষু রোগীরা।শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেশিনটি মেরামতের জন্য বার বার চিঠি দিয়েও কোন সুরাহা করতে পারছে না।তবে সেন্টাল মেডিকেল স্টোর ডিপার্টমেন্ট (সিএমএসডি) সূত্রে জানা গেছে,দেশের টেকনিশিয়ানরা এ মেশিন মেরামতে অপারগ।যার কারণে সিঙ্গাপুর থেকে আগামী ৫ অক্টোবর টেকনিক্যাল পারসন এনে মেশিনটি মেরামত করানো হবে।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,২০১৪ সালে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে সিএমএসডি থেকে পাঠানো হয়েছে ল্যাসিক মেশিনটি।এ মেশিন থেকে ল্যাসিক করানোর ফলে রোগীকে আর চশমা ব্যবহারের প্রয়োজন হয় হয় না।দক্ষ জনবলের অভাবে এ মেশিনটি চালু করা যাচ্ছিল না প্রথম অবস্থায়।পরে ২০১৫ সালে বিদেশ থেকে কয়েকজন টেকনিক্যাল পারসন এনে মেশিনটি চালু করে।পাশাপাশি হাসপাতালের ল্যাসিক মেশিনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা দেন ওই টেকনিক্যাল পারসনরা। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মেশিনটির পার্টে সমস্যা দেখা দেয়ায় বিকল হয়ে পরে।পরে ঢাকা সেন্টাল মেডিকেল স্টোর ডিপার্টমেন্ট থেকে টেকনিশিয়ান এসে মেরামত করে দেয়।তবে ২ মাসের মাথা ফের বিকল হয়ে পড়ে মেশিনটি।এর পর দফায় দফায় চিঠি চালাচালি করেও মেশিনটি মেরামত করতে পারেনি শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।হাসপাপতালের আইটি বিভাগের ইনচার্জ পরিতোষ কুমার জানান,পার্টে সমস্যা দেখা দেয়ায় প্রায় ৩ মাস ধরে ল্যাসিক মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে আছে।ঢাকায় খবর দেয়া হয়েছে।তারা জানিয়েছেন সিঙ্গাপুর থেকে আগামী ৫ অক্টোবর টেকনিক্যাল পারসন এসে মেশিনটি চালু করে দিবেন।হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও চক্ষু বিভাগের প্রধান ডা. নিজাম উদ্দিন ফারুক বলেন,হাসপাতালের সব মেশিনই পরিচালনায় জটিলতা রয়েছে।কখনো মেশিনের ত্রুটি দেখা দেয়।আবার কখনো মেডিসিন শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এসব মেরামতের জন্য কোন ফান্ড থাকে না।যার কারণে কোন মেশিন বিকল হলে ঢাকার স্মরণাপন্ন হতে হয়।কিন্তু দেখা যায় যে ঠিকাদার এ মেশিন সরবরাহ করেছে সে কাজ করতে চায় না।বলেন,তার সাথে যে কনট্যাক্ট ছিল তা শেষ।এখন মেশিন ফেলে দেন।এমনই সমস্যায় রয়েছে হাসপাতালের ল্যাসিক মেশিনটির।এব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে এলপিআর এ যাওয়া পরিচালক ডা: এসএম সিরাজুল ইসলাম জানান,এ গুরুত্বপূর্ন মেশিনটি মেরামতের জন্য বার বার লেখা হয়েছে।একবার সেরেও(মেরামত) দিয়েছিল।কিন্তু ফের বিকল হয়েছে।ঠিকাদারকে মেরামতের জন্য বলা হয়েছে।এ মেশিন মেরামতের সময় এখনো রয়েছে বলে তিনি জানান।
Post Views: ০
|
|