নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন পরিচালক ডা: মো: বাকির হোসেন। আজ (২৬ জুলাই) শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি সরকারী নির্দেশনা জারি করা হয়, যার স্মারক নং শেবামেকহ/বরি/১৮/৩৪২৮। পরিচালক স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বরিশাল প্রেস ক্লাব এবং বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ইস্যুকৃত চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, কোন ব্যাক্তি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হাসপাতালে রির্পোট সংগ্রহ করতে আসেন, তারা সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে পরিচালকের অনুমতি গ্রহন করেন না। সে কারণে অনেক ক্ষেত্রে শেবাচিম হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন। এসকল অনাকাঙ্খিত বিষয় থেকে পরিত্রাণ পেতে শুধুমাত্র প্রেসক্লাবের সদস্যদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে এবং পরিচালক ডা: বাকিরের অনুমতি ছাড়া কেউ হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবে না। যদি কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করে সংবাদ সংগ্রহ করার চেষ্টা চালান তাহলে সেই সাংবাদিককে পুলিশের হাতে সোর্পেদ করা হবে। এ বিষয়ে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাস বলেন, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক আসলে সাংবাদিক নিয়ে ভুলের জগতে রয়েছেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা মোটেই তার এখতিয়ারে নেই। আমি মনে করি অবিলম্বে তার এই বক্তব্য প্রত্যাহার করা উচিত। নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল, বরিশালের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেন, পরিচালক নিজের দোষ ঢাকতে সাংবাদিক প্রবেশে বিধি-নিষেধ আরোপ করছেন। তিনি এমন নির্দেশনা দিয়ে যে ধৃষ্ঠতা দেখিয়েছেন তা বিরল। প্রধানমন্ত্রী যেখানে অবাদ তথ্য প্রবাহের উপর জোড় দিচ্ছেন সেখানে তিনি হাটছেন উল্টো পথে। আমি মনে করি এই পরিচালক সরকারকে সহায়তা না করে সরকারকে বিপাকে ফেলার ষড়যন্ত্র করছেন। বিষয়টি সম্পর্কে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক কোষাধ্যক্ষ জিয়া শাহিন বলেন, এমন একটি নোটিশ দিয়ে নিজের জ্ঞান এবং সাংবাদিকদের অপমান করলেন তিনি। দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে পরিচিত শেবাচিম হাসাপাতাল। এমনিতেই সংবাদ সংগ্রহের অন্যতম স্থান এই নোটিশ দিয়ে সেই দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ রোধ করার অপচেষ্টা মাত্র। এ ব্যাপারে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক এম নাসিমুল হক বলেন, তিনি সাংবাদিকতার আইন কানুন সম্পর্কে অজ্ঞ নয়। যে কারণে এ ধরণের চিঠি পাঠিয়েছেন।