|
রিং ক্রয়ের জন্য খরচ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, হাসপাতালে ফি জমা মাত্র ২ হাজার টাকা
বরিশাল শেবাচিমে রোগীর কিডনির রক্তনালীতে রিং সংযোজন
বরিশাল শের-ই-বাংলা বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর কিডনি’র রক্তনালীতে (রেনাল আর্টারি) সফলভাবে রিং সংযোজন করা হয়েছে। রিং সংযোজনের পর সুস্থ্য রয়েছেন ৫০ বছর বয়সী জয়নাল আবেদীন। তিনি বাবুগঞ্জ উপজেলার মাদবপাশা ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শেবাচিম হাসপাতালের একমাত্র ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ এম সালেহ উদ্দীন।তিনি জানান,বরিশাল তথা দক্ষিনাঞ্চলের একাধিক রোগীর হার্টে রিং আর প্রেসমেকার সংযোজনের পর বুধবার প্রথমবারের মতো দুই কিডনীর রক্তনালীতে রিং সংযোজনের সফল এ কাজটি করা হয়েছে।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জয়লান আবেদীন দীর্ঘ দিন ধরে উচ্চমাত্রার রক্তচাপে ভূগছিলেন। উচ্চমাত্রার রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি ইতো পূর্বে ৪টি সর্বোচ্চ মাত্রার ঔষধ সেবন করেছেন।কিন্তু কিছুতেই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে আনতে না পেরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন।চিকিতসকদের মতে, সাধারণত কিডনীর রক্তনালী ব্লক থাকায় উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় না।তাই ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ এম সালেহ উদ্দীন রোগীর রোগ সম্পার্কে ধারনা পেয়ে কিডনীর এনজিওগ্রাম পরীক্ষা করে দেখতে পান তার ডান কিডনীর রক্তনালী ৯০ ভাগ এবং বাম কিডনীর রক্তনালী ৯৫ ভাগ ব্লক। এ অবস্থায় তিনি রোগীর দুই কিডনীর রক্তনালীতে রিং বসানো উদ্যোগ নেন। রোগীর স্বজনরা রিং সরবরাহ করে দিলে বুধবার শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অত্যাধুনিক মেশিনের সহায্যে জয়নাল আবেদীন’র দুই কিডনীর রক্তনালীতে সফল ভাবে রিং সংযোজন করেন।এতে রোগীর স্বজনদের দুটি রিং ক্রয়ের জন্য খরচ হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা।আর হাসপাতালে ফি জমা দিতে হয়েছে মাত্র দুই হাজার টাকা।রোগীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানান,এর আগে রাজধানী ঢাকার একটি ক্লিনিক দুই কিডনীর রক্তনালীতে রিং সংযোজনের জন্য চেয়েছিলো প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা।এখানে কম খরচে অপারেশন করিয়ে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে।যদিও এজন্য বিভিন্ন জনের কাছ থেকে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। অপারেশনের নেতৃত্ব দেয়া শেবাচিম হাসপাতালের কার্ডিওলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ এম সালেহ উদ্দীন জানান, রোগী জয়নাল আবেদীন’র কিডনীর রক্তনালীতে জরুরী ভিত্তিতে রিং সংযোজন করা না হলে তার দুটি কিডনীই নষ্ট হয়ে যেতো।অজ্ঞান না করে ৩০ মিনিটের মধ্যে রোগীর এই অস্ত্রপচার সম্পূন্ন হয়েছে।রোগী বর্তমানে সুস্থ্য রয়েছে।তিনি আরো বলেন, প্রতিনিয়ত বরিশালে এই অপারেশন করতে প্রয়োজন শুধু জনবল।আর সহযোগীতা জন্য আরো একজন টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন রয়েছে।রিং সংযোজন টিমে ছিলেন ডাঃ রোহান খান, ডা. মাহফুজুর রহমান. ডা. সাইদুর রহমান,সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ইনচার্জ শামিমা ইয়াসমিন, সিনিয়র স্টাফ নার্স সাদিয়া পারভিন ও সুরভী এবং একমাত্র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. গোলাম মোস্তফা।
Post Views:
১৪৮
|
|