Current Bangladesh Time
শুক্রবার ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫ ১:৪২ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল শেবাচিমে অবৈধ অ্যাম্বুলেন্সের নৈরাজ্য! 
Monday August 20, 2018 , 12:54 pm
Print this E-mail this

অকেজো, ব্যবহার অযোগ্য-ফিটনেসবিহীন গাড়ি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স সেবার নামে প্রতারণা চালিয়ে আসছে একাধিক সিন্ডিকেট

বরিশাল শেবাচিমে অবৈধ অ্যাম্বুলেন্সের নৈরাজ্য!


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল সরকারি শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘিরে গড়ে উঠেছে রমরমা অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা। অকেজো, ব্যবহার অযোগ্য-ফিটনেসবিহীন গাড়ি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স সেবার নামে প্রতারণা চালিয়ে আসছে একাধিক সিন্ডিকেট। এর সঙ্গে জড়িতরা বেশির ভাগই হাসপাতালের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী, ওয়ার্ডবয় ও ওয়ার্ড মাস্টার। হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স স্বল্পতার কারনে তা পায় না রোগীরা। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিছু সংখ্যক কর্মচারী ও অসাধু মালিকদের বেআইনি ও অবৈধ অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবসা রমরমা হয়ে উঠেছে। আর এসব অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও মালিকদের দ্বারা অহরহ হেনস্থা হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এমন কি মর্গ থেকে লাশ গন্তব্য পৌঁছাতেও অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা টানা-হেঁচড়া করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও হাসপাতাল দায়িত্বশীল কিছু স্টাফকে ম্যানেজ করে দিনের পর দিন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে, বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের নামের বেনামের অনেক অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করে রাখতে দেখা যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মূল প্রবেশপথের প্রায় পুরোটাই দখল করে রাখে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও অ্যাম্বুলেন্স। এতে চলাচলের চরম দুর্ভোগে পড়েন রোগীরা। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানান, বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স আছে যেগুলো ব্যবহার অযোগ্য-ফিটনেসবিহীন এবং হাসপাতালের সামনে রাস্তা দখল করে রাখে। এমনকি রোগীর স্বজনের কাছ থেকে ২ হাজার টাকার ভাড়া ৫ হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখানে অনেক অ্যাম্বুলেন্স আছে যার কাগজ পত্র, লাইসেন্স কিছুই নেই। এ বিষয়ে আমি বেশ কিছুদিন ধরে ডিসি, এডিসি, এডিসোনাল এসপি, এডিএম সবাইকে বলেছি আপনারা একটি মোবাইল টিমের ব্যবস্থা করেন। যাতে করে প্রতি মাসে দু’বার না পারলে অন্তত: একবার হলেও এসব অবৈধ অ্যাম্বুলেন্স বাতিল করা যায়। আর একসাথে অতিরিক্ত অ্যাম্বুলেন্সের কারনে অনেক সমস্য হচ্ছে । এ বিষয়ে ডাঃ বাকির আরো বলেন, আমি গত ২৫ এপ্রিল একটি স্বাস্থদপ্তর কমিটির মিটিংয়ে এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ স্যারকে বলি হাসপাতালে অতিরিক্ত অ্যাম্বুলেন্স এর কারণে চরম বিশৃৃঙ্খলা হচ্ছে। এসময় আমি অবৈধ অ্যাম্বুলেন্স বাতিল করে বাকি তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়ার কথাও বলি। প্রতিটি ভাগে দশটা দশটা করে মোট ত্রিশটা হলেই যথেষ্ট। এবং শেবাচিম হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনে অ্যাম্বুলেন্স অস্থায়ী স্টান্ড দিয়ে থাকতে বলি ।শেবাচিম হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ২টি তাও আবার একট না চলার মত। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম স্যারের কাছে ৪টি অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছি। আশা করি আমরা এ অর্থ বছরেই ২টি অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে পাবো। আমি হাসানাত স্যারকে ধরে আশাকরি সামনে আগাতে পারব এতোদিন তার কাছে কিছু দাবি করিনি, এখন করবো। তিনি আশা ব্যক্ত করেন, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র মাধ্যমে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিবর্তন ঘটানোর।




Archives
Image
ডাক্তারদের উপঢৌকন বন্ধ হলে ওষুধের দাম কমবে ৩০%
Image
বৌদ্ধ ধর্মীয় উৎসব মাঘী পূর্ণিমা আজ
Image
নতুন দলের নেতৃত্বে কারা আসছেন, যা জানা গেল
Image
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ বিএনপির
Image
জুলাই অভ্যুত্থানের নৃশংসতা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার