মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগ পরিচয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নাম ভাঙিয়ে মাহিন্দ্রা থেকে চাঁদা উত্তোলনের ঘটনায় এবার ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শ্রমিকরা। ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর কাছে সরাসরি গিয়ে চাঁদা উত্তোলনের বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন, নগরীর বটতলা এলাকার সুজন, সাগরদী এলাকার ইলিয়াস ও সোনামিয়ার পোল এলাকার সোহাগ। তারা দীর্ঘদিন ধরে নগরীর হাতেম আলী কলেজ এলাকা থেকে চলাচলরত প্রায় ৬০টি মাহিন্দ্রা থেকে প্রতিদিন ৬০ টাকা ও মাসে ৫০০ টাকা করে উত্তোলন করতেন। কেউ চাঁদা না দিলে মারধরও করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পরে মাহিন্দ্রা থেকে চাঁদা উত্তোলন করতে যান সুজন, ইলিয়াস ও সোহাগ। এসময় জাকির আকন নামের এক মাহিন্দ্রা চালক চাঁদা না দিতে চাইলে উল্লেখিতরা তাকে বেদম মারধর করেন। জাকির আকনকে মারধর করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অপরাপর গাড়ি চালকরা। এরই প্রতিবাদে গতকাল ওই এলাকার মাহিন্দ্রা চালকরা একত্রিত হয়ে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর কাছে যান। সাদিক আবদুল্লাহ মাহিন্দ্রা চালকদের সকল অভিযোগ শুনে তাদেরকে আর চাঁদা না দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এরপরেও যদি কেউ চাঁদা উত্তোলন করতে যান তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও আশ^াস দেন মেয়র। চাঁদা উত্তোলনের বিষয়ে জানতে সুজন বলেন, টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব সাদিক আবদুল্লাহই আমাদের দিয়েছেন। তার নির্দেশেই ওখান থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়। তারা নির্দেশ ছাড়া কি আমরা টাকা উত্তোলন করতে পারি? আর যে টাকাটা উত্তোলন করি সেটাতো অবৈধ টাকা না। এটাতো বৈধ টাকা। মাহিন্দ্রা চালাবে আর টাকা দিবে না এটা কি হয়। শুধু ওখান থেকে কেন নগরীতে চলাচলরত সকল মাহিন্দ্রা থেকেইতো টাকা উত্তোলন করা হয়, সেটা দেখেন না? অপর অভিযুক্ত যুবলীগ কর্মী পরিচয়ধারী ইলিয়াসের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে ফোন করে পরিচয় দেয়ার সাথে সাথে তিনি বলেন, ভাই আপনি যার জন্য ফোন দিছেন সেটা জানি; আমি চৌমাথায় আছি, আসেন, সামনাসামনি কথা বলবো-বলেই ফোনটা কেটে দেন।