|
বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা পার্কে অরক্ষিত পাবলিক টয়লেট, চরম ভোগান্তিতে দর্শনার্থীরা
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : কীর্তনখোলা নদীর পাড় ঘেষে বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে অবস্থিত বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা পার্ক। তৎকালীন মেয়র প্রয়াত, শওকত হোসেন হিরন’র পরিকল্পনায় দৃষ্টিনন্দন রুপ পায় এই পার্কটি। এখানে প্রতিনিয়ত দেখা জায় ভ্রমন পিপাসুদের ভীড়। নদীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পার্কটিতে রয়েছে সারিবদ্ধভাবে রোপন করা গাছ। আলো, ছায়া, বাতাস সর্বক্ষনেই থাকে এই পার্কটিতে। কেহ বসে আড্ডা, আবার কেহ বিশ্রাম-এভাবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা সময় কাটায়। রয়েছে গাছের মাঝখানে বসার স্থান। সবকিছু পরিপূর্ণ থাকলেও নেই কোন পরিবেশবান্ধব টয়লেট। জানা যায়, এই পাকটিতে প্রথম থেকেই একটি পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বিভিন্ন টেন্ডার মাধ্যমে অনেকে পাবলিক টয়লেট টি পরিচালনা করতো। একপর্যায় দায়িত্ব ও অবহেলার কারনে অনেকেই ছিটকে পড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, এই টয়লেটটি অনেকদিন আগে এক মহিলা পরিচালনা করতো। তখন জন প্রতি ৫/১০ টাকা করে রাখলেও বেশিদিন টিকাতে পারেননি। একপর্যায় দেখা যায় টয়লেট ভিতর বেহাল দশা। পানির মটর ভাংগা, দরজা ভাংগা ও ময়লা আবর্জনায় এক অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। আর ও জানা যায় যে, সিটি কর্পোরেশন নতুন টেন্ডারে কেউ টয়লেটটি পেলেও কোন কার্যক্রম নাই। বরং বারো হাজার পাঁচশত টাকা বকেয়া বিল রয়েছে এই পাবলিক টয়লেটের নামে। এ ব্যপারে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী জানায়, আমি আমার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে প্রায় সময় ঘুরতে আসি। কিন্ত প্রত্যেকবারই আমি টয়লেট কাছে এসে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি। সে আর ও জানান, বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ্ যদি একটু দৃষ্টি দেন, তাহলে আমাদের মত ঘুরতে আসা মানুষদের আর ভোগান্তির মধো পরতে হবে না। এছাড়া বর্তমানে পার্কটিতে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে ১০ নং বিসিসি কাউন্সিলর, এটি এম শহিদুল্লাহ কবির কাছে আলাপকালে তিনি জানান, আমি জানি বর্তমান ওই টয়লেটটির টেন্ডারে কেউ পেয়েছে, কিন্ত টয়লেট ভিতর যে এতটা বেহাল দশা সেটা আমি আগে জানতাম না। তিনি আর ও জানান, আমি খুব দ্রুত কর্তৃপক্ষ সাথে আলাপ করে অবশ্যই দ্রুত এর সমাধান করব।
Post Views:
১৮২
|
|