|
ইতিমধ্যেই পদ-পদবীও হারিয়ে ফেলেছেন এই অসীম দেওয়ান
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ানকে গ্রেফতার
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ানকে গ্রেফতারের পর ‘সামন্তা ও অসীম’কে নিয়ে বরিশালে চলছে নানা আলোচনা।ইতিমধ্যেই পদ-পদবীও হারিয়ে ফেলেছেন এই অসীম দেওয়ান।কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের তাৎক্ষণিক বিজ্ঞপ্তিতে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।জানা গেছে, অপহরণ নয়-প্যানেল মেয়র কে.এম শহিদুল্লাহর হাত থেকে বাঁচতেই পালাচ্ছিলেন সামন্তা ও অসীম দেওয়ান।কিন্তু পথিমধ্যে দু’জনের মতের অমিল হওয়ায় শুরু হয় ঝগড়া।ঝগড়ায় সামন্তা উঁচু স্বরে কথা বলায় ফেরির স্টাফদেও সন্দেহ হওয়ায় তাদের পাকরাও করে তুলে দেয়া হয় পুলিশের কাছে।জানা গেছে, সামন্তার সাথে ২০১১ সালের শেষের দিকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন এই অসীম দেওয়ান।এমনকি উভয়েই ঢাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে পরিচিত ছিল।জানা গেছে, সামন্তা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি ফ্লাট নিয়ে থাকতেন।অসীম দেওয়ান থাকতেন কলাবাগান এলাকায়।সামন্তা কলাবাগান এলাকার দিকে বিশেষ না গেলেও প্রায় নিয়মিতই সামন্তার ফ্লাটে আসতেন অসীম দেওয়ান।অসীম দেওয়ানের বন্ধুদের বরাতে জানা গেছে, প্রায় দিনই ২/৩ ঘন্টা একই কক্ষে সময় কাটাতেন তারা।তাদের প্রায়ই যমুনা ফিউচার পার্কের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টেও সময় কাটাতে দেখা যেত।আর অসীমের সাথে সম্পর্ক মেনে নিচ্ছিলেন না প্যানেল মেয়র কে.এম শহিদুল্লাহ।জানা গেছে, অসীমের সঙ্গ না ছাড়লে সামন্তার মাকে তালাক ও ভাই সাদ্দামকে ত্যাজ্য করে দিবে বলে হুমকিও দিতেন শহিদুল্লাহ।তারই ধারাবাহিকতায় গত রমজান মাসে শহিদুল্লাহ সামন্তার জন্য অন্যত্র বিয়ের পাত্র দেখা ঠিক করেন।বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি অসীম দেওয়ান। ঘনিষ্টসূত্র বলছে, এমন সংবাদ শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে সামন্তার বসুন্ধরার বাসায় গিয়ে হট্টগোল শুরু করে অসীম।তখন সামন্তা ও তার ভাই সাদ্দাম অসীমকে নির্ভর করে ৬ মাসের সময় চান।ওই সূত্রের দাবী, উভয়ের মধ্যে অলিখিত চুক্তি হয় এই ছয় মাসের মধ্যে তারা কোর্ট ম্যারেজ করে রাখবেন।কোর্ট ম্যারেজের বিষয়ে সামন্তা এগিয়েছে এমন তথ্য জানতে পেরে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যান শহিদুল্লাহ।জানা গেছে, এর পরই বিভিন্ন কৌশলে মেয়ের ও তার স্ত্রীর মানসিক অবস্থার পরিবর্তন করেন।ওদিকে রূপগঞ্জ থানার নির্ভরযোগ্য এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, মূলত ভিকটিম যে মেয়ে তার বক্তব্যের বাইরে আমাদের বলার কিছু নেই।থানায় নিয়ে আসার পরে ভিকটিম আমাদের কাছে স্বীকার করেছিল আকটকৃত তার পরিচিত ও দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সর্ম্পক রয়েছে।তবে ভিকটিম তার পরিবারের সাথে কথা বলার পর দাবী করেছে যে তাকে অপহরণ করা হয়েছে।যদিও থানা সূত্র বলছে, প্রেম বা অপহরণের চেয়েও আটককৃতর কাছে যে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি পাওয়া গেছে সেটিই এখন মূখ্য বিষয়।ধারণা করা হচ্ছে, নিজেদের মধ্যকার সম্পর্কের টানপোড়েন নিয়ে উভয়ই শঙ্কিত ছিল।সেই অবস্থা থেকে অনিয়ন্ত্রিত আলোচনা করতে গিয়ে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির তৈরী হয়েছে।নয়তো দীর্ঘ দিনের প্রেমিক অসীম দেওয়ান হঠাৎ করে অপহরণ করবে কি কারনে সেই প্রশ্ন নিয়েও বরিশালে এখন বইছে জোর আলোচনা।
Post Views:
৬৬৪
|
|