Current Bangladesh Time
শনিবার অক্টোবর ১২, ২০২৪ ১:৪১ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উপেক্ষিত বরিশালবাসী 
Friday February 23, 2018 , 12:54 pm
Print this E-mail this

প্রতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারী দিনটিকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় (দিবস) ডে’ হিসেবে পালন করা হয়

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উপেক্ষিত বরিশালবাসী


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফসল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর প্রানের দাবী বাস্তবে রূপ দেন। এর পর থেকেই প্রতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারী দিনটিকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় (দিবস) ডে’ হিসেবে পালন করা হয়। গত ২২ ফেব্রুয়ারীও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়েছে। কিন্তু বিগত বছরের চেয়ে এবারে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের চিত্র ছিলো পুরোটাই ভিন্ন। পূর্বের বছরের মতো এবারে দিবসটি পালন করতে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষানুরাগীদের দেখা যায়নি। যাদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় সেই বরিশালবাসীকে বাদ দিয়েই দিবস এবং ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে বরিশালের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ঢাকার দু’একজন সিন্ডিকেট সদস্যকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নগরীর দু’একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থাকলেও অনুষ্ঠানে মুল্যায়ন করা হয়নি তাদের। যে কারণে ক্ষোভে তারা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে চটে গিয়ে বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে আনতেই হবে এমন কোন কথা আছে নাকি। আমার থেকে বড় আর কে আছে বলে দম্ভোক্তি করেন তিনি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানা গেছে, প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠান প্রানবন্ত ভাবেই হয়ে থাকে। ইতিপূর্বে প্রত্যেকটি দিবসেই বরিশালের স্থানীয় এমপি, শিক্ষানুরাগী কিংবা মন্ত্রী পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে পালন হয়। গত বছর দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক চীফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ-এমপি। এছাড়া সমাপনি অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রী এবং শিল্পমন্ত্রীও অংশগ্রহন করেছিলেন। কিন্তু এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন ছাড়া অন্য কাউকে দেখা যায়নি। অনুষ্ঠানে মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদানকারী তৎকালিন পুলিশ সুপার মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম গেলেও যথাযথ সম্মান জানানো হয়নি। যে কারণে অভিমানে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন তিনি। তাছাড়া অনুষ্ঠানে যাননি বিভাগীয় কমিশনার শহিদুজ্জামান, বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহা. জিয়াউল হক সহ সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা। অভিযোগ উঠেছে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, প্রশাসনিক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন জানানো হয়নি। আবার যাদের আমন্ত্রন জানানো হয়েছে তাদেরকে যথাযথ ভাবে আমন্ত্রন জানানো হয়নি। এ কারনেই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অনুষ্ঠান বরিশালবাসিকে ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন থেকে সমাপনি পর্যন্ত সকল স্থানেই একক আধিপত্তে ছিলেন উপাচার্য্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক। অনুষ্ঠানের প্রথম ভাগে অর্থাৎ সকাল ৯টায় জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা এবং বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন কালে উপাচার্য্যর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. একেএম মাহবুব হাসান, ববি’র সিন্ডিকেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অনারারী প্রফেসর ড. শফিউর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের উপস্থিতিতেই র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতেও বরিশালের স্থানীয় কোন ব্যক্তিবর্গকে দেখা যায়নি।
তাছাড়া অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সম্মান ১ম বর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানেও বরিশালের স্থানীয় কোন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের দেখা মেলেনি। এই অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র বরিশাল কেন্দ্রিক ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন, ডিজিএফআই’র বরিশাল বিভাগীয় প্রধান কর্ণেল জিএস জিএম শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসাইন বলেন, আমরা বরিশালবাসির আন্দোলনের সুফল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে বরিশালবাসিকে মুল্যায়ন করা হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি’র অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করাতেই আমরা মুল্যায়ন পাচ্ছি না। জানাগেছে, গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস এর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এসএম ইকবাল। কিন্তু এবারের অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়নি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা না রাখায় ভিসি বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়াতে এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রন পাননি এসএম ইকবাল। অপরদিকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন না করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক বলেন, আমি আমন্ত্রন পেয়েছি। তবে সারাদিন পরীক্ষার কাজে বরিশালের বাইরে ব্যস্ত ছিলাম। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি। তবে এক গনমাধ্যমকে দেয়া বক্তব্যে বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেছেন, আমন্ত্রন পেয়েছি। কিন্তু তা যথাযথ ভাবে নয়। তাই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেও কাউকে কিছু না বলে অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করার বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি স্বাধীন বাংলাদেশেল প্রথম রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদানকারী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্র। তবে তিনি অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।




Archives
Image
ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
Image
‘ক্রসফায়ারের নামে’ ছাত্রদল নেতাকে হত্যা: শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাইসহ আসামি অর্ধশত
Image
বরিশালে রাস্তার উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
Image
পটুয়াখালীতে ধরা পড়েছে ২ কেজি ২৮০ গ্রাম ওজনের এক ইলিশ
Image
কর্মবিরতিতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের নার্সরা