Current Bangladesh Time
সোমবার সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪ ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল বিভাগের ৪ জেলা শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীদের দখলে 
Thursday November 15, 2018 , 11:10 am
Print this E-mail this

একাধিক মাদক ব্যবসায়ী সার্বক্ষনিক সক্রিয়, এমনকি জেলে বসেও মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে একাধিক গডফাদার

বরিশাল বিভাগের ৪ জেলা শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীদের দখলে


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : শতাধিক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বরিশালসহ ৪ জেলা নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, নিজস্ব তথ্য প্রমাণ, ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের মতামত এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতায় খুবই নিখুতভাবে মাদক ব্যবসায়ীদের এ তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের সৎ, সাহসী উদ্যোগ কিংবা আন্তরিকতার অভাব আছে তেমনটা নয়। কিন্তু মাদক নির্মুলের প্রধান সমস্যা এটাই যে দেশে এই সমাজে মাদক একটা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভ করেছে, যার দরুন আমদানী সংরক্ষণ বিপণন এই ক্ষেত্রগুলোকে মাদক সিন্ডিকেট যে কোন উপায়ে হোক সচল রাখতে সচেষ্ট তাদেরকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহযোগীতা করে মাদকসেবীরা। তারা সমাজের সর্বস্তরে জালের ন্যায় ছড়ানো। বিশেষ করে বাংলাদেশে মাদক নির্মূলের জন্য আলাদা কোন স্কোয়াড নেই। পুলিশ একই দিকে দেওয়ানী, ফৌজদারী, জননিরাপত্তার বিষয়গুলো সামলে মাদকের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কোন কার্যকরী শক্তি জমায়েত করতে পারে না। পারলেও লোকবলের অভাবে তা হয়ে পড়ে ক্ষণস্থায়ী। এই জন্য বরিশালে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী সার্বক্ষনিক সক্রিয়। এমনকি জেলে বসেও মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে একাধিক গডফাদার। উল্লেখ্য, মাদক বিরোধী বিশেষ পুলিশী অভিযানের মূহুর্তে বড় আকারের কয়েকটি মাদক চালান বরিশালে প্রবেশ করে। বরিশালে মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ফেন্সিডিল শীর্ষস্থানীয় নেশাদ্রব্য। তবে বাংলা মদটা সরকার কর্তৃক সীমিত আকারে অনুমোদিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্ট কিছু জটিলতার জন্য এর বেচাকেনা বন্ধ। কিছু অভিজ্ঞ মহলের মতে, বৈধ মদ অবৈধ হলে সমাজে ইয়াবা, ফেন্সিডিলের কিছুটা হলেও দাপট বাড়ে। সবচেয়ে বিধ্বংসী মাদক হিসাবে ইয়াবা এবং ফেন্সিডিল চিহ্নিত যা ব্যবসায়ী এবং মাদকসেবীদের কাছে বাবা ডাইল হিসাবে পরিচিত। বরিশাল শহর এমনকি শহরতলীতেও এমন কোন পাড়া বা মহল্লা নেই যেখানে দু’একটা মাদক ব্যবসায়ী নেই। বেকারত্ব, কৌতুহল, এ্যাডভেঞ্জার প্রিয়তা, হতাশা ইত্যাদি কারনে মানুষ মাদক সেবন করে বিক্রীর দিকেও ঝুঁকে পড়ে। মদক এখন বিক্রী হয় উন্নত ডিজিটাল পদ্ধতিতে। নানান শব্দে মোবাইলে যোগাযোগের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য বেচাকেনা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিক্রেতারা হলো-নবগ্রাম রোডের আলী, সে স্থানীয় আ’লীগ নেতা মনির মোল্লার ছত্রছায়ায় ফেন্সি বিক্রী করে মোটর মেকানিক্সের আড়ালে। শহরের প্রাণকেন্দ্র গীর্জা মহল্লার চিহ্নিত হস্তরেখা বিশারদ শাহা কামাল বিশিষ্ট নেতা/ব্যক্তিদের হাত দেখার সুবাদে তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে নির্বিঘ্নে ফেন্সি সেবন এবং ব্যবসা পরিচালনা করছে। এ বাণিজ্য তার দীর্ঘদিনের হলেও প্রশাসন অজ্ঞাত কারনে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তার বসতবাড়ীতে আলাদা একটা কক্ষ রয়েছে যেখানে সে এবং তার বন্ধু-বান্ধবরা প্রতিদিন রুটিন করে সেখানে মিলিত হয় এবং ইয়াবা ও ফেন্সি সেবন করে। নতুন বাজারে ফেন্সি হারুনের অবর্তমানে তার সহযোগী কারিকর বিড়ি’র শ্রমিক নেতা হালিম, নতুন বাজার এলাকার দম্পতি হারুন ও বেবী। বেবীর মাদক ব্যবসা দেখভাল করে আকাশ ও মেয়ে মুক্তা। বেবির মেয়ে জামাই মুরাদ নতুন বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে। নতুন বাজার বস্তির নিরোদ, বিসিক বাবুল, সোহেল ওরফে তাঁত সোহেল, বাঁশ রফিক। ক্রস ফায়ারে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুহাদের ভাই মুরাদের। কাশীপুরের চহঠার মাসুম। জমির ব্যবসার আড়ালে ফেন্সি বিক্রী করে, বৈদ্যপাড়ার সান্টু, বি.এম কলেজের সামনের ধলু, শহরে মাদকের সবচেয় জমজমাট হাটবাজার নাজিরের পুলের বাবুল। প্রায় প্রকাশ্যেই পুল, ক্লাব, স্ব-রোডের ভেতর পর্যন্ত বেশ দাপিয়েই প্রতিদিন মাদক বিক্রি করে। জনতা ব্যাংকের পিয়ন আকবর হোসেন, খ্রিষ্টান পিজুস, কারিতাস এর কর্মচারী ফেনসিডিল বিক্রি করার কারণে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। আকবর জনতা ব্যাংকের পিয়ন হবার কারণে কিছু জনতা ব্যাংকের মাদক সেবনকারী কর্মকর্তার নিকট গোপনে ইয়াবা ও ফেন্সিডিল বিক্রি করে। ঝালকাঠির ইলিয়াস কাজি কিছু দিন পূর্বে তার গোরস্থান রোড ভাড়া বাসার ফ্রিজের ভিতর থেকে ১০ পিচ ফেন্সিডিল থাকায় তাকে না পেয়ে ইলিয়াস এর স্ত্রীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলি। আলেকান্দা রিফিউজি কলোনির সোহাগ কাজী ওরফে ইয়াবা কাজি। বরিশাল কলেজের সামনের কুট্টি, মলয় দাস, কাউনিয়া খাঁ বাড়ির ইয়াবা রাশেদ। সদর উপজেলার কাগাশুরা এলাকার বাসিন্দা ছত্তার সিকদার। নথুল্লাবাদের রয়েল মটোর’র আড়ালে বি.এম কলেজ এবং তার আশপাশের অঞ্চলসমূহেও মাদক সরবরাহ করে লক্ষন দাসের নাতি রিন্টু দাস। বি.এম কলেজের নাহিদ সেরনিয়াবাদ এর সহযোগী লাইন রোডের রাজিব দির্ঘদিন যাবত সু কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে এই রমরমা মাদক ব্যবসা। নুর আলমের একসময়ের সহযোগী গোরস্থান রোডের পন্ডিত রাজিব হচ্ছে বরিশাল শহরের ইয়াবার হোল সেলার সে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা তার নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। রাজিব ফেইসবুকের ম্যাসেঞ্জার ও বিকাশের মাধ্যমে ইয়াবা বিক্রি করে। গত কয়েকদিন আগে ফেন্সিডিলের বড় একটা চালান নিয়ে আটক হয় ছাত্রদল নেতা ছোটো মাসুম তবে মামলার অপর আসামিরা জিয়া সড়কের আদনান আল বাবু, পন্ডিত রাজিব, বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন মঈন তুষার। ঝালকাঠীর সেন্টুর অবর্তমানে তার মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে তারই ছোট ভাই শাহ আলম, দুলাভাই আবুল, ভাগিনা নিরব। দক্ষিন অঞ্চলের অন্যতম পাইকারি মাদকের গডফাদার গৌরনদীর হিরা মাঝি সকলকে ম্যানজে করেই চলছে তার বাণিজ্য।

সূত্র : বরিশাল ক্রাইম ওয়াচ




Archives
Image
দলবাজ ছাত্র-শিক্ষককে ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না-ড. ইউনূসকে শিক্ষার্থীরা
Image
বরিশালে শ্বাসনালিতে খাবার আটকে শিশুর মৃত্যু
Image
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে : চিফ প্রসিকিউটর
Image
বরিশালের গৌরনদীতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
Image
বরিশালে প্রতিপক্ষের হামলা, ১০ জন হাসপাতালে