প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল বিএম কলেজের হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
Monday August 27, 2018 , 6:12 pm
কর্মচারীদের বোনাস বাবদ, ৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৭০ টাকা উত্তোলন করে ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন
বরিশাল বিএম কলেজের হিসাব রক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের হিসাব রক্ষককারী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এবার সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায় সরকারি বিএম কলেজের রাজস্ব খাতে কর্মরত ২৪ জন সরকারি কর্মচারীর পবিত্র ঈদুল ফিতরের বোনাস বাবদ পাওনা ছিল ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। কিন্তু হিসাব রক্ষককারী শহিদুল ইসলাম কর্মচারীদের বোনাস বাবদ, ৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৭০ টাকা উত্তোলন করে ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি ঈদুল আযহার বোনাসের টাকা তুলতে গিয়ে কর্মচারীরা টের পেলে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। গত দুদিন যাবত বিষয়টি জানাজানি হলে কলেজে তোলপাড় শুরু হয়। কলেজের হিসাব রক্ষককারী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নয়ছয় করে কলেজের আভ্যন্তরীণ খাত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তবে এবার খোদ সরকারি কোষাগার থেকে টাকা আত্মসাৎ করে প্রমাণ সহ ধরা খাওয়ায় তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ প্রমাণিত হলো বলে মন্তব্য করেছেন অনেক কর্মচারী। এর আগেও কলেজের সাবেক প্রধান সহকারী সাখাওয়াত হোসেন সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিলো। এদিকে একই কলেজের হিসাব সহকারী মোঃ সেলিমের বিরুদ্ধেও রয়েছে এন্তার অভিযোগ। কলেজের শিক্ষকদের সন্তানদের শিক্ষা ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে সেলিম। কিন্তু বিএম কলেজে সেলিমের কোন ছেলে মেয়ে পড়াশুনা করে না। সেলিমের এইসব কার্যকলাপের কারনে তার উপর অনেকেই ক্ষুদ্ধ কিন্তু প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে রাজি হন না। এব্যাপারে কলেজ অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন টাকাটা ভুলে উত্তোলন করা হয়েছিল, আজকালের মধ্যে চালান কেটে এজিতে জমা দেয়া হবে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিকুর রহমান শিকদারের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অধ্যক্ষের কার্যালয়ের টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তার কার্যালয়ের প্রধান সহকারী জানান তিনি বাহিরে আছেন। কলেজের মুখপাত্র শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এ এস কাইয়ুম উদ্দিন আহমেদ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন ইহাও কি সম্ভব এজি থেকে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে কেউ টাকা তুলে নিয়েছেন? যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, শহিদুল ইসলামের পূর্বের কর্মস্থল স্বরুপকাঠী সরকারি কলেজে থাকাকালীন ২৭ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে শহিদুলকে মাথা ন্যাড়া করে আলকাতরা দিয়ে স্বরুপকাঠীর রাস্তায় ঘুরানো হয়। তবে একটি সুত্র দাবি করেছে এর সাথে কলেজের উপর পর্যায়ের সকল আমীর উজিরেরা জড়িত তা না হলে এটা সম্ভব নয়।