প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল পরিবার পরিকল্পনার স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে
Wednesday May 23, 2018 , 8:57 pm
যেসব উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবা কিছুটা পিছিয়ে আছে সেখানে কাজের মান আরো বৃদ্ধি করার আহবান
বরিশাল পরিবার পরিকল্পনার স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে
বরিশাল পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বরিশাল সহ জেলার অপর ৯ জেলায় স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার মান লক্ষ মাত্রা অতিক্রম করার প্রতিবেদন উপাস্থপন করা হয়েছে। বরিশালে ১হাজার ৬০ জনের স্থলে ১হাজার ১শত ২৮জন গর্ভবতী মাকে সেবা প্রদান করা হয়েছে যার এসে দাড়িয়েছে ১০৬%। বরিশাল সহ অপর ৯ উপজেলায় ৭হাজার ২শত ২০ জনের স্থলে পরিবার পরিকল্পনার স্বাস্থ্য কর্মকতা ও মাঠ প্রর্যায়ের কর্মচারীরা ৩ হাজার ৬ শত ৯৮জন গর্ভবতী মায়ের সেবা দিয়েছে। যার হার এসে দাড়িয়েছে ৫৩%। অপরদিকে প্রসবকালীন মায়েদের জেলায় ১ হাজার ৪ শত ৪০ জন সেবাস্থলে ৫শত ৪৪জন প্রসবকালীন মায়ের প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ০-৫ বছরের শিশুদের জেলায় ১৬ হাজার ৮ শত শিশুকে সেবা প্রদান করার স্থলে ৮ হাজার ২শত ১৮টি শিশুকে সেবা দেওয়া হয়। এরকম বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি করার লক্ষে পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তারা মাঠ প্রর্যায়ে তাদের কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধি করে চলছে বলে এক প্রতিবেদনে তথ্য তুলে ধরেন। মাসিক সভার মাধ্যমে আরো জানা গেছে বরিশাল সহ ১০ উপজেলায় ১ হাজার ৬শত ২৭জন জীবিত শিশুর জন্ম হয়েছে। এসময়ের মধ্যে বরিশাল ও গৌরনদীতে মোট ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে গর্ভজটিলতায় কোন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। বুধবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বরিশাল পরিবার পরিকল্পনার মাসিক সভায় গত ১৮ই এপ্রিল ২০১৮ইং জেলা প্রশাসক দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া আলোচনা সভার ১মাস ৬দিন পর আজকের আলোচনা সভায় পরিবার পরিকল্পনার স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এক প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানে সহ বিভিন্ন কর্মীর প্রতিবেদনের কপি হাতে দেওয়া হয়। এসময় পরিবার পরিকল্পনা বরিশাল (ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ) ডাঃ তৈয়বুর রহমান সেবার মানের পরিসংখ্যান তথ্য-উপাতথ্য পাঠ করেন। পরিবার পরিকল্পনার মাসিক সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডাঃ এম ফরিদুজ্জামান, ডাঃ দিলিপ কুমার দাস, ডাঃ মেহেদি হাসান। এসময় সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোঃহাবিবুর রহমান পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-ও তৃণমূল কর্মীদের কাজে মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যা সংক্রান্ত অগ্রগতি সফলতায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যেসব উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবা কিছুটা পিছিয়ে আছে সেখানে কাজের মান আরো বৃদ্ধি করার আহবান জানান। এছাড়া মায়েদের ডেলিভারী, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্টদের আরো যত্নবান হওয়ার আহবান করেন। পাশাপাশি সিজারিয়ান সেকশন চিকিৎসা কমিয়ে আনা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার কথা বলেন।