মধ্যরাতে লঞ্চ থেকে নেমেও যাত্রীদের চোখে-মুখে নেই কোনো ঘুম বা ক্লান্তির ছাঁপ
বরিশাল নদীবন্দরে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সাথে ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে বরিশাল নদীবন্দর ও বাস টার্মিনাল এলাকা। কোনো ধরনের ঝক্কি ঝামেলা ছাড়াই এবার স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পেরে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট থেকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী নিয়ে রাজধানীর সদরঘাট ত্যাগ করতে শুরু করেছে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের বিলাসবহুল লঞ্চগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার বরিশাল নদীবন্দরে ছিলো লঞ্চে আসা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে যায় গোটা নদীবন্দর ও আশপাশের এলাকা। সূত্রে আরও জানা গেছে, সরাসরি রুটের লঞ্চগুলো বন্দরের পল্টুনে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়েই আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যে বরিশালে পৌঁছাতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। স্বাভাবিক সময়ে সকালে লঞ্চ থেকে নামলেও ঈদের এই সময়টায় মধ্যরাতে লঞ্চ থেকে নেমেও তাদের চোখে-মুখে কোনো ঘুম বা ক্লান্তির ছাঁপ নেই। বিআইডব্লিউটি-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের ভিড় ছিল স্বাভাবিক দিনের থেকে অনেক বেশি। তবে এ ভিড় ঈদের দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় বন্দর এলাকাসহ গোটা বরিশাল নগরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। যারা তাৎক্ষণিক বন্দর এলাকা ত্যাগ করতে চান না তাদের জন্য টার্মিনাল ভবনের সামনে আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে সূর্যোদয় পর্যন্ত নিরাপদেই অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। নদীবন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্দর এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় মধ্যরাত থেকেই বিআইডব্লিউটি-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বরিশাল সদর নৌ থানা পুলিশ, মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, বরিশাল সদর ও নৌ-ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। যারমধ্যে পুলিশের নারী সদস্যদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।