|
আবু সালেহ বরিশাল নগরীর নুরিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল
বরিশাল নগরীতে স্কুল ছাত্রকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
বরিশাল নগরীতে সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দে আবু সালেহ (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রকে সাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ কিশোর। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের সাগরদী শেরেবাংলা সড়কে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আবু সালেহ ওই এলাকার লিটন মৃধার পুত্র। আবু সালেহ বরিশাল নগরীর নুরিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই হামলাকারী হৃদয় পালিয়ে গেছে। বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র হৃদয় একই এলাকার বাসিন্দা আতাউর রহমানের ছেলে। নিহত আবু সালেহ’র পিতা লিটন মৃধা জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ সংবাদ পেলাম আমার বাবাকে কারা যেন মেরেছে। খবর শুনেই ছুটে এসে দেখি আমার বাবা রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে। স্থানীয়দের সহযোগীতা নিয়ে চলে আসি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালে এসেই ভর্তি করানোর পরে হাসপাতালের ৪ তলার ১২ নাম্বার ওয়ার্ডে নিয়ে যাই। তবে তখনো বাবার জ্ঞান ছিলো না। এর কিছুক্ষন পরেই কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান আমার কলিজার টুকরো ছেলে পৃথিবীর সকল মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে গেছেন। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, বরিশাল নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডে সিনিয়র জুনিয়রকে কেন্দ্র করে স্কুল ছাত্র খুন হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে এঘটনা ঘটে বলে জানান। স্থানীয়রা আরো জানান, গত মাস খানেক পূর্বে স্থানীয় আতাউর রহমান সুজনের পুত্র বরিশাল সরকারী সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র হৃদয়ের সাথে একই এলাকার বাসিন্দা রং মিস্ত্রি লিটন মৃধার পুত্র নুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মোঃ আবু সালেহ্’র সঙ্গে সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে ছিলো। তৎকালিন সময় পারিবারিক ভাবে বিষয়টি মিমাংসা হলেও ক্ষোভ থেকে যায় হৃদয়ের মধ্যে। তারই ধারাবাহিকতা গতকাল রাতে প্রাইভেট পরে বাসায় ফেরার পথে আবু সালেহ্ কে পিছন থেকে লোহার সাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হৃদয়। এসময় আবু সালেহ্ চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে হৃদয়কে ধরে এবং লোহার সাবল নিয়ে টানা হেচড়া করে। যখনই আবু সালেহ্ মাটিতে গড়িয়ে পরে তখনই হৃদয়কে ছেড়ে সবাই আহত আবু সালেহ্ কে নিয়ে চিকিৎসার উদ্দ্যেশে শেবাচিমের পথে রওয়ানা হয়। সেই সুযোগে সাবল নিয়ে পালিয়ে যায় হৃদয়। এমনটাই পুলিশের সামনে বক্তব্য দেন প্রত্যক্ষদর্শিরা। ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কোতয়ালী মডেল থানার চৌকোস কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ আওলাদ হোসেন মামুন। তিনি শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শির সাথে কথা বলেন বলে জানান। তিনি জানান, স্কুলছাত্রের মরদেহ সুরতাহল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। স্কুলছাত্রের পরিবারের পক্ষে মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এর পরেই শেবাচিম হাসপাতালে ছুটে আসেন সিনিয়র সহাকারী পুলিশ কমিশনার কোতয়ালী (এসি-অতিঃ) ফরহাদ হোসেন সরদার। এসময় অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ আওলাদ হোসেন মামুন জানান, আমরা ঘটনার তদন্ত করছি এবং অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার কোতয়ালী (এসি-অতিঃ) ফরহাদ হোসেন সরদার এর সাথে। তিনি জানালেন ইতিমধ্যে আমাদের বেশ কয়েকটি টিম অপরাধীদের ধরতে মাঠে কাজ করছে। আমরা শীঘ্রই অভিযুক্তকে আটক করতে সক্ষম হবো বলে জানান তিনি।
খন্দকার রাকিব, অতিথি প্রতিবেদক
Post Views:
৩৩০
|
|