ওই ছাত্রী আবার ফিরে পেয়েছে তার বিদ্যালয় ও পড়াশুনা অব্যাহত রাখার অধিকার
বরিশাল নগরীতে বাল্য বিয়ে থেকে স্কুল ছাত্রীর রক্ষা
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে পরপর তিনবার শ্রেষ্ঠ প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজের উদ্যোগে নগরীতে বন্ধ হলো সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীর বিয়ে। মহানগর পুলিশের এডিসি (উত্তর) মোঃ রকিব, আভাস’র নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল ও বেসরকারি সংস্থা ওরা মানুষ সোস্যাল অর্গানাইজেশনের সভাপতি ইফতি’র সহায়তায় ওই ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন প্রবেশন কর্মকর্তা। নগরীর ভাটিখানার জোড় মসজিদ এলাকায় শনিবার ওই বিয়ের কথা ছিল। প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারজে’র উদ্যোগে ওই ছাত্রী আবার ফিরে পেয়েছে তার বিদ্যালয় ও পড়াশুনা অব্যাহত রাখার অধিকার। সাজ্জাদ পারভেজ জানান, জোড় মসজিদ এলাকার রিক্সা চালক বাবার কন্যা ছিল ওই ছাত্রী। গত শনিবার উন্নয়ন মেলায় অবস্থানকালে ওরা মানুষের সভাপতি ইফতি ওই ছাত্রীর বাল্য বিয়ের খবরটি দিয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ও আভাসের একটি দল নিয়ে ছুটে যান। তারা জানতে পারেন ছাত্রীর সাথে তার নিকট আত্মীয় ইলেকট্রিশিয়ানের বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। তারা যাওয়ার আগেই সেখানে বরযাত্রীও এসে অবস্থান করছেন। সাজ্জাদ পারভেজ আরো জানান, মেয়েটির বাবা রিকশাচালক এ্যাজমায় আক্রান্ত। বেশীরভাগ সময় বিছানায় পড়ে থাকায় সংসারে তিন বেলা খাবার জোগাতে হিমশিম খেতে হয়। তার পক্ষে মেয়েকে লেখাপড়া করানোও সম্ভব নয়। এ কারনে মেয়ের বিয়ের বয়স না হলেও তিনবেলা যাতে খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে এ জন্য তার ভায়রা ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করেন। এরপর সেখানে উপস্থিত সকলে বোঝানো ও ছাত্রীর পড়াশুনার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্থ করা হয়। তখন পিতামাতা মেয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না বলে তাদের নিকট অঙ্গিকার করেন। এতে খুশী হয় বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ছাত্রী। সাজ্জাদ পারভেজ জানান, পড়াশুনা চালিয়ে যেতে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। এমনকি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে দিতে না পারে সে জন্য তাদের ফলোআপ থাকবে।