তার কাছ থেকে একটি মোবাইল সেট ও নগদ দুই হাজার ছয়শত টাকা অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা নিয়ে যায়
বরিশাল-ঢাকা নৌপথে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা শুরু
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঢাকায় কর্মরত সাধারন শ্রেনীর মানুষ নাড়ির টানে ঘড়ে ফেরার নৌপথে এখনো পুরাপুরি বিলাশ বহুল লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের উপছে পড়া ভিড় শুরু না হলেও লঞ্চগুলো অজ্ঞান ও মলম পার্টির তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। আজ শুক্রবার বেলা ১২টারদিকে বরিশাল নৌ-বন্দর ঢাকা ঘাটের সামনে নিহত শ্রমীক নেতা আনিস আলমগীরের কবরের পাশে অজ্ঞান অবস্থায় মধ্য বয়সের এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় কৌতুহল দর্শকরা দাড়িয়ে তার অবস্থা দেখছিলেন বিশ হাত সামনে নৌ থানা থাকা সত্বেও কেহ পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করছিলেন না। অজ্ঞান হয়ে পড়া যুবকটির অবস্থা বেগতিক দেখে নৌ থানা ইনচার্জ অফিসার শেখ মোহাম্মদ বেল্লাল হোসেনকে ডেকে এনে যুবকটিকে উদ্ধার করে পুলিশ দিয়ে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা করাবার জন্য পাঠনো হয়। এরপূর্বে ঘাটে থাকা এক শিশু বলেন যুবকটি সুন্দরবন লঞ্চ যোগে বরিশাল আসে সকালে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে লঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর থেকে সে এক প্রর্যায়ে কবরস্থানের সামনে পড়ে থাকে। নৌ থানা ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ বেল্লাল হোসেন যুবকটি পরিচয় জানার জন্য তাকে কয়েকবার জিঞ্জাসা করলে ঘুমন্ত অবস্থায় কোন রকম কাটা কাটা ভাষায় বলেন তারবাড়ি মেহেন্দিগঞ্জ সে ঢাকা থেকে এসেছে তার কাছে একটি মোবাইল সেট ও নগদ দুই হাজার ছয় শত টাকা ছিল যা অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা নিয়ে যায়। তবে সে কোন লঞ্চে এসেছে তা পরিস্কার করে বলতে না পারলেও বলেন নতুন লঞ্চে বরিশাল এসেছে। এছাড়া বাড়ি-ঘড়ের কোন ঠিকানা সে সঠিকভাবে বলতে পারছেনা নেশায় ঘুমে কাত হয়ে পড়ছিলেন বার বার। এঘটনা দেখে ঘাটে থাকা স্থানীয় জনতারা বলেন লঞ্চ ছাড়ার পূর্বে ও ছাড়ার পর লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জোরালোভাবে যাত্রীদের সতর্ক ও অপরিচিত লোকদের খাবার বর্জন সহ সন্দেহ হলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য গুরুত্ব দিয়ে জন স্বার্থে প্রচার করা উচিৎ বলে তারা মনে করেন।