|
কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও ভিআইপি যাত্রী চেয়ারম্যানকে শান্ত করে যাত্রী লাউঞ্জে নিয়ে যান
বরিশাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মইদুল এবার গুলি বির্তকে জড়ালেন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ‘আই ওয়াজ টু টাইমস মেম্বার অব পার্লামেন্ট অ্যান্ড রানিং চেয়ারম্যান অব ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড।ডু ইউ নো মি, হু এম আই ?’- উচ্চস্বরে এভাবেই বাংলাদেশ বিমানের জনৈক এক কর্মকর্তাকে ধমকালেন বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মইদুল ইসলাম।তার এমন হুমকি-ধমকিতে হতভম্ব হয়ে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা, বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল নিরাপত্তা কর্মীরা।বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশাল বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শী এবং বিমানের একাধিক যাত্রী জানান, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে মইদুল ইসলাম বরিশাল বিমানবন্দরে পৌঁছে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমা এবং বোর্ডিং করাতে বিমানের কাউন্টারে যান।ওই সময় বিমানের বরিশাল কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. মেজবাহউদ্দিন বিধি অনুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্র জমা রেখে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে এর সঙ্গে কতগুলো গুলি আছে তা জানতে চান।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মইদুল ইসলাম তাকে উচ্চস্বরে ধমকাতে থাকলে বিমানবন্দরে আসা যাত্রী ও নিরাপত্তা কর্মীরা হতভম্ব হয়ে কাউন্টারে এসে ভিড় করেন।এক কর্মকর্তা বলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের আগ্নেয়াস্ত্র জমা রাখার পর গুলির সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি একবার বলেন ৩৬টি, আবার বলেন ৩৯টি।তখন ওই গুলি গুনে দেখতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ইংরেজি-বাংলায় বিমানের সবাইকে ধমকান।জানতে চাইলে ব্যবস্থাপক মো. মেজবাহ উদ্দিন আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, তাদের চেকিং প্রসেসে ইন্টারনেট লাইন না থাকায় ম্যানুয়ালি চেক করতে চাইলে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অসন্তুষ্ট হন।বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বলার পর তিনি শান্ত হন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও ভিআইপি যাত্রী চেয়ারম্যানকে শান্ত করে যাত্রী লাউঞ্জে নিয়ে যান।জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মইদুল ইসলাম বলেন, বিমানে আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার নিয়ম আছে।কিন্তু গুলি গুনে দেখা কিংবা জমা দেওয়ার বিধান নেই।ওরা (বিমান কর্মীরা) হয়রানি করার জন্য গুলি গুনতে চেয়েছিল।এ বিষয়ে বরিশাল বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক মো. হানিফ গাজী বলেন, ‘জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে কত রাউন্ড গুলি আছে তা জানতে চাওয়ায় তিনি রেগে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি।ঘটনাটি একান্তই এয়ারলাইন্সের বিষয়।’
Post Views:
১৩৬
|
|