স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার এস আই সমিরন মন্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।৩০ আগস্ট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর এমন অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী বাবুল গাজী।অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী) মো: আসাদুজ্জামান।তদন্তের অংশ হিসেবে ৭ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।তদন্তনাধীন বিষয়ে কিছু বলতে না চাইলেও আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার টিএন্ডটি রোডের বাসিন্দা কাসেম গাজীর পুত্র বাবুল গাজী ২৮ আগস্ট বরিশালে অবস্থান করছিল।রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল লঞ্চ ঘাটের পাবলিক টয়লেটের উত্তর পাশ থেকে বাবুল গাজীকে ডাক দেন এস আই সমিরন মন্ডল।বাবুল গাজী দাড়ালে তার পকেটে থাকা ১৫ হাজার ৭০০ টাকা নিজ হাতে দিয়ে তুলে নেন সমিরন।একই সাথে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন।দাবীকৃত টাকা না দিলে, ২০০ পিস ইয়াবা দিয়ে গ্রেফতার করবে বলে হুমকি দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর বাবুল গাজীকে নিকটস্থ সিকদার বোর্ডিংয়ের ২য় তলার একটি কক্ষে নিয়ে জিম্মি করেন।এসময়ে কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে সিকদার বোর্ডিংয়ের মালিকদের জিম্মায় ৫ হাজার টাকা মুক্তিপন দেবার আশ্বাস দেয়া হলে রাত ১২ টার দিকে বাবুল গাজীকে ছেড়ে দেন সমিরন।পরবর্তীতে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপনের চুক্তি থেকে এক হাজার টাকা প্রদান করে বাবুল গাজী।এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়া হলে তার তদন্তভার পরে সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী) মো: আসাদুজ্জামানের উপর।তারই ধারাবাহিকতায় ৭ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী মডেল থানায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।সাক্ষ্য প্রদান করেন জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী সোহাগ।বাবুল গাজী বিদেশে থাকতেন।বর্তমানে দেশে ফিরে ব্যবসা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।স্থানীয়রা জানিয়েছে হোটেল সিকদার বিশেষ কাজে ব্যবহার করে থাকেন এস আই সমিরন।বিভিন্ন সময়ে এই হোটেলটিতে দেনদরবার করে থাকেন তিনি। এই হোটেলটি ‘সমিরনের আখড়া’ বলে পরিচিত বলেও জানা গেছে।