প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল কোতয়ালী থানার সাবেক এসআই চিন্ময় মিত্রসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় চার্জ গঠন
Tuesday October 3, 2017 , 7:34 pm
সাক্ষ্য প্রমাণে ওই ধারা প্রমাণিত হলে আদালত অপরাধীদের সর্বোচ্চ মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা দিতে পারে
বরিশাল কোতয়ালী থানার সাবেক এসআই চিন্ময় মিত্রসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় চার্জ গঠন
স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল কোতয়ালী থানার সাবেক এস আই চিন্ময় মিস্ত্রিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় চার্জ গঠন করেছে আদালত।২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন বিচারাধীন আদালত চিন্ময়সহ তিনজনের অব্যাহতি আবেদন না মঞ্জুর করে চার্জ গঠন করেন।আদালত সূত্র জানায়, গত বছর ২৪ জুলাই বিমান বন্দর থানার এস আই সুলতান আহম্মেদ মাদক বিক্রেতা নিধু মিস্ত্রিসহ ৪৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে মামলা দায়ের করেন।অভিযোগে তিনি বলেন, মাদক বিক্রির খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার এস আই সমীরণ মন্ডলসহ দুই থানা পুলিশ ইনফ্রা পলিটেকনিক কলেজের উত্তর পাশে অভিযান চালিয়ে সিগারেটের কার্টুনে রাখা ৪৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ নিধুকে আটক করেন।জিজ্ঞাসাবাদে নিধু থানা পুলিশকে জানায় সে ১০ হাজার টাকা মাসিক বেতনে এস আই চিন্ময় মিস্ত্রির মাদক বিক্রি করে।এস আই চিন্ময় ও বেল্লাল গাজী তাকে ৩০০ বোতল ফেন্সিডিল বিক্রি করতে দেয়।নিধু ও রুবেল হোসেন ব্যাপারী এবং কামাল ওরফে মাইজ্জা কামাল বরিশাল নগরীজুড়ে ওই মাদক বিক্রি করে।তারা চিন্ময় ও বেল্লালের নির্দেশ মত টাকা এস এ পরিবহণ ও বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে পাঠায়।এভাবে নিধু থানা পুলিশ ও আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়।মামলাটি তদন্তের জন্য থানা পুলিশ হতে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম রুবেল ও বেল্লালকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে একই ধরনের তথ্য পায়।তিনি গতবছর ৫ সেপ্টেম্বর চিন্ময় মিস্ত্রীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন।আদালত ২২ ডিসেম্বর চার্জশিট গ্রহন করে পলাতক অভিযুক্ত কামাল ও চিন্ময়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।আদালতের আদেশ পেয়ে চিন্ময় নিজেকে নির্দোষ দাবী করে গত ১৯ জুন জামিনের আবেদন জানিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শামীম আহম্মেদ বিচারাধীন আদালতে আত্মসমর্পন করে হাজতে যায়।কিছুদিন হাজতবাস শেষে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে জামিন লাভ করে।মামলাটি বিচারের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করেন।এস আই চিন্ময়সহ তিনজন মামলা হতে অব্যাহতি চেয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন।আদালত শুনানি শেষে আবেদন না মঞ্জুর করে ৫ জনের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯ (১) এর টেবিল ৩ (খ)/২৫ ধারায় চার্জ গঠন করে বিচারের জন্য সাক্ষী তলব করেন। আগামী ৬ নভেম্বর মামলার সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য্য করেন।আইনজীবীরা জানায়,যে ধারায় চার্জগঠন হয়েছে সাক্ষ্য প্রমাণে ওই ধারা প্রমাণিত হলে আদালত অপরাধীদের সর্বোচ্চ মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা দিতে পারে।