লঞ্চ কর্তৃপক্ষের হয়রানির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন মো. বশির নামে এক ব্যক্তি
বরিশাল কীর্তনখোলা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ !
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল ঢাকা নৌরুটে যাত্রী পরিবহনকারী লঞ্চ এমভি কীর্তনখোলা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সাথে যাত্রীদের সাথে প্রতারণা করে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বরিশালে ভাড়া ১৫০ টাকা বলে যাত্রী লঞ্চে তুলে পরবর্তীতে মাঝনদীতে ২০০ টাকা নেওয়া হয়। এমন একটি অভিযোগ তুলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের হয়রানির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন মো. বশির নামে এক ব্যক্তি। পাশাপাশি তিনি লঞ্চের স্টাফদের খারাপ আচারণের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। ‘লিটন বাশার, বরিশাল ইত্তেফাক বরিশাল’ নামক গ্রুপ পেইজে এই বিষয়টি প্রকাশের পরপরই সেখানে নানা ব্যক্তি বিশেষ কীর্তনখোলা লঞ্চে যাত্রী পরিবহনে অব্যবস্থপনার তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরছেন। হয়রানির শিকার মি. বশির তার পোস্টে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশালের উদ্দেশে ঢাকা থেকে কীর্তনখোলা ১০ ডেকের যাত্রীরে ১৫০ টাকা ভাড়া বলে ডেকে ডেকে উঠানো হয়। পরবর্তীতে মাঝ রাতে যাত্রীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা ভাড়া দাবি করে লঞ্চের স্টাফরা। তখন যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে টিকেট মাস্টারদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এই প্রতারণা থেকে যাত্রীদের বাঁচাতে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ফেসবুকে বশিরের দেওয়া পোস্টের পরে কীর্তনখোলা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সৈয়দ আবু হুরায়রা লিটন নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, বরিশালে যে কয়েকটি লঞ্চ রয়েছে, তার মধ্যে কীর্তনখোলার যাত্রীসেবার মান খুব খারাপ। তাছাড়া লঞ্চটির স্টাফদেরও আচারণ ভাল না। মেহেদী হাসান নামে আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, ওদের সার্ভিস খুবই খারাপ। এই বিষয়ে জানতে কীর্তনখোলা লঞ্চের মালিক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌসের মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।