|
বরিশাল কাশিপুরে বিএনপি নেতা রুহুলের ত্রাস, ট্রাক শ্রমিককে কুপিয়ে জখম
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশাল সদর উপজেলা কাশিপুর ইউনিয়নের সারশি এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কবুতর চুরির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বিএনপির ক্যাডার রুহুল আমিন মল্লিক তার ছেলেদের নিয়ে এক ট্রাক শ্রমিককে কুপিয়ে জখম এবং নারীদের শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটিয়েছে। গুরুতর আহত রুহুল আমিন মোল্লাকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। গত ১৮ আগস্ট দুপুরে সারশি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতের ভাই আল-আমিন মোল্লা এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন এসআই ইয়াছিন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কাশিপুর ইউনিয়নের সারশি গ্রামের মোঃ আল-আমিন মোল্লা ও মধ্য সারশি গ্রামের রুহুল আমিন মল্লিকের পূর্ব থেকে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। যার ধারাবাহিকতায় গত ১৮ আগস্ট দুপুরে কবুতর চুরির মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মধ্য সারশি গ্রামের আইয়ুব আলী মল্লিকের ছেলে মোঃ রুহুল আমিন মল্লিক একই গ্রামের মোঃ মজিবুর হক মোল্লার ছেলে মোঃ রুহুল আমিন মোল্লাকে বগি দা দিয়ে কোপ দেয়। এতে রুহল আমিনের মাথা ও হাতে রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে রুহুম আমিনের মা ছকিনা বেগম ও তার ভাবি নারগিছ আক্তার ছুটে এলে তাদেরকেও তাইজুল ও রহিম পড়নের কাপড় টেনে হিঁচরে শ্লীলতাহানী করে। বিবাদী তানজিম ও তাইজুল ওই এলাকায় কিশোর সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। বাদী আল-আমিন মোল্লা অভিযোগ করেন, রুহুল আমিন মল্লিক ও তার দুই ছেলে মোঃ তানজিম ও তাইজুল এবং তাদের বন্ধু রহিম সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। স্থানীয়রা তাদের নানান অপকর্মের সাক্ষী থাকলেও তাদের ভয়ে কেউ তাদের কিছু বলে না। বর্তমানে গুরুতর আহত রুহুল আমিন মোল্লা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার এসআই ইয়াছিন জানান, কোপাকুপির এ ঘটনায় একটি পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অভিযুক্ত রুহুল আমিন মল্লিক বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আইয়ুব আলীর পুত্র। দীর্ঘ বছর পূর্বে মধ্য সারশি গ্রামের আমজেদ আলী হাওলাদার এর মেয়েকে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে থাকতে শুরু করেন। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে স্থানীয় কতিপয় জামায়াত নেতার হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে নাম লেখান। সূত্রটি আরো জানায়, বিএনপি সরকারের আমলে লাকুটিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। এরই সুবাদে তাকে মধ্য সারশি জামে মসজিদের ইমামতির সুযোগ পান। কিন্তু অনৈতিক ও সরকার বিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকায় তাকে মসজিদ থেকে স্থানীয়রা বের করে দেন। এরপর থেকেই নানা কৌশলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন তিনি। তার দুই ছেলে তানজিম ও তাইজুলকে দিয়ে মাদক বিক্রি করে। স্থানীয়রা আরো জানান, তানজিম ও তাইজুলের কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে। এদিকে ঘটনার পরের দিন গত ১৯ আগস্ট রাতে একাধিক মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে এলাকায় মটর সাইকেল মহড়া দেয় তানজিম ও তাইজুল। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রুহুল আমিন মল্লিক কাশিপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। গত জাতীয় নির্বাচনে মুখার্জীর পোল এলাকায় আওয়ামীলীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে রাতের আধারে অগ্নিসংযোগের মামলায় অন্যতম আসামী।
Post Views:
২১৬
|
|