প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল কাউনিয়া থানার ৫ দারোগার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ !
Sunday March 18, 2018 , 8:10 pm
বেলতলা ডকইয়ার্ড এর একটি জাহাজ থেকে লাফার্জ হোলসিম কোম্পানির ১০ হাজার বস্তা সিমেন্ট খালাস হচ্ছিল
বরিশাল কাউনিয়া থানার ৫ দারোগার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ !
অবৈধ পণ্য খালাসের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পন্যের বৈধতা পেলেও অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কাউনিয়া থানার ৫ দারোগার বিরুদ্ধে। নগরীর বেলতলা ডকইয়ার্ড এলাকার ওই ঘটনায় থানার সেকেন্ড অফিসার তানজিল আহমেদসহ তিন এসআই ও দুইজন এএসআই জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে বেলতলা ডকইয়ার্ড এলাকার ঘাটে একটি জাহাজ থেকে লাফার্জ হোলসিম কোম্পানির ১০ হাজার বস্তা সুপারক্রিট সিমেন্ট খালাস হচ্ছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে এসআই তানজিল আহমেদ, জসিম ও শম্ভু এবং দুইজন এ এস আই সহ মোট ৫ জন অফিসার সেখানে গিয়ে সিমেন্ট ক্রয় ও এখানে খালাসের বৈধতার কাগজপত্র দেখতে চান। সেখানে উপস্থিত সংশ্লিষ্টরা পন্যের চালান বের করলে তাতে উল্লেখ ছিল জাহাজটি সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা থেকে সিমেন্ট নিয়ে যশোরে যাবে। চালানে বরিশালের নাম উল্লেখ থাকলেও এখানে পণ্য খালাসের কারণ জানতে চাইলে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা নানা রকম অজুহাত দেখাতে থাকেন। পরবর্তীতে পুলিশ পন্য যেখান থেকে এসেছে এবং যেখানে যাবে উভয় পক্ষের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ফোন নম্বর নিয়ে কথা বলে এর বৈধতা যাচাই করেন। এরপরও নানা অজুহাতে বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি করলে পুলিশকে চেপে যাওয়ার জন্য দেন-দরবার শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। একপর্যায়ে দেন-দরবার শেষে ৫ পুলিশ কর্তাকে ২০ হাজার টাকা প্রদানের বিনিময়ে ঝামেলা থেকে মুক্তি পান তারা। ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেখানে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ বিষয়ে এসআই তানজিল বলেন, সরকারি পণ্য অবৈধ পথে পাচারের তথ্য পেয়ে ওখানে গেলে এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। কিন্তু যশোরের পণ্য বরিশালে খালাস হওয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে পণ্য প্রেরণকারী এবং গ্রহণকারী উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পণ্য খালাসের বৈধতা নিশ্চিত হয়ে সেখান থেকে চলে আসি। ২০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ সম্পর্কে তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।