|
তদন্তের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে, তদন্তের রির্পোট পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
বরিশাল উদয়ন স্কুলে দুর্নীতি, তদন্তে নেমেছে জেলা প্রশাসন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : শিক্ষা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বরিশালে উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার আড়ালে লুটপাটে মেতে ওঠেছে। এতে করে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ নতুন ভবন নির্মাণের নাম করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়, কোচিংয়ে করতে বাধ্য করা, নির্ধারিত প্রকাশনার গাইড কিনতে বাধ্য করা, সেশন চার্জের নামে বারবার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছে এই বিদ্যালয়। আর এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামছে জেলা প্রশাসন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বরিশালের সুনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত কয়েক বছর ধরে অনিয়মের আখড়ায় পরিনত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সরকারী নিবন্ধিত এমপিওভূক্ত হলেও চলে তাদের খ্রিস্টান সম্প্রাদায়ের মিশনারী নিয়মনীতিতে। এতে করে উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ থেকে শুরু করে পরিচালনা-সবই মিশনারীদের নিয়মে। অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর চাইতে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নিয়মাকানুন সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেশব্যাপি কোচিং সেন্টারগুলো যখন বন্ধ করে দেয়ার জন্য সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে ঠিক তখনই নগরীর উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কোচিং বাণিজ্য ও নতুন ভবন নির্মাণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। সূত্র জানায়, উদয়ন স্কুল কর্তৃপক্ষ শ্রেণি-কক্ষের মধ্যেই এ কোচিংবাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। আর কোচিং শিক্ষার্থীদের জন্য করা হয়েছে বাধ্যতামূলক। কোচিংয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতিমাসে দিতে হবে ৯’শ টাকা, প্রতি মাসে সিট বাবদ ২’শ, টিউটরিয়াল পরীক্ষার নামে ৩’শত মোট ১৪ শত টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাকরা জানান, যদি কোন অভিভাবক তার সন্তানকে কোচিং না করায় তাহলে সেই অভিভাবক ও শিক্ষার্থী স্কুলটির শিক্ষকদের বিরাগভাজনে পরিণত হয়। একই সাথে লেলিয়ে দেয়া হয় বিদ্যালয়ের পিয়ন, সুইপার ও কর্মচারিদের। অভিভাবক মহল আরও অভিযোগ করেন, জানুয়ারি মাসে নতুন-পুরাতন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির সময় আইডি কার্ড ও ব্যাচ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ, ফার্নিচার, আসবাপত্র ক্রয়, শিক্ষক-কর্মচারীদের গ্রাচুউটি ফান্ডের টাকা নেয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে ৩ হাজার টাকা আদায় করে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও সিলেবাস অনুযায়ী গ্রামার এবং নোট বই কিনতে হলে বাধ্যতামূলক নগরীর নির্দিষ্ট দু’টি লাইব্রেরী থেকে ক্রয় করতে হবে। ওই বইগুলো অন্য লাইব্রেরী পাওয়া যায় না। এখানেই শেষ নয়, স্কুলের ইউনিফরম (পোষাক) তৈরী করাতে যেতে হবে নির্দিষ্ট দু’টি টেইর্লাস্-এ। জানা গেছে, ভর্তির সময় নানা পন্থায় টাকা আদায়ের পর জানুয়ারি থেকে মার্চ এই ৩ মাসের বেতন ১২০০ টাকা এবং সেশন চার্জ ২২৫০ টাকা আদায় করছে। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ব্রাদার) এলর্বাট রতœ বলেন, সরাসরি বিদ্যালয় আসেন কথা হবে। বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বরিশালের স্বারসাত বালিকা বিদ্যালয়ের এরকম অনিয়মের তদন্ত চলছে। উদায়নেরও তদন্ত হবে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, উদয়নের বিষয়টি ইতিমধ্যে তদন্তের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। তদন্তের রির্পোট পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Post Views:
৯৪৪
|
|